পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. --তুমি এলে ভালই হোল। ঘৱদেৱ বঁটখাট দিই। উদশগুলো ভেঙে জঙ্গল হয়ে গিয়েছে। চড়ুই পাখীর বাসা হয়েছে কড়িকাঠ। হাটবাজার কন্ধে এনে দাও। সেই মরুভূমির মত জায়গা থেকে কে ফেন ইমামায় এখানে টেনে নিয়ে এল। থাকতে পারলাম না। ': * , , , , । পরে কাছে এসে অপরাধীর সুরে বল্পে-ধ্যাগী, * अञ्ार्शो' शiशश्च বাড়ীতে * ফেলে রেখেছিলে কেন এতদিন ? রাগ করেছিলে বুঝি? : যতীন গ্রেহপূর্ণ দৃষ্টিতে ওর দিকে চেয়ে রইল, সে দৃষ্টিতে গভীর অনুকম্প, ལྷ་རྩ་གཟན་སྐ༈ অনুকম্প-সর্ববাসনা শুন্য উদার ক্ষমা-কোনো কথা বল্লে না। আশা মুগ্ধদৃষ্টিতে ওর দিকে চেয়ে হাসি-হাসি মুখে বল্লে-বেশ চেহারা হয়েছে তোমার। * , , হঠাৎ আশা চীৎকার করে উঠলো-একি ! ওমা, একি হোল! কোথায় গেলে গো ? এই যে ছিলে ? ওমা এ সব কি ! যতীন বুঝলে সে অদৃশ্য হয়ে গিয়েচে আশার কাছে। পৃথিবীতে কতক্ষণ সে থাকবে, পৃথিবীর আসঠুি ও চিন্তায় তার দেহ স্কুলস্তরের দর্শনযােগ্য হয়েছিল অল্প সময়ের জন্যে, ওর চিন্তার প্রবল আকর্ষণ নরক থেকে আশাকে এনেছিল। এখানে আশাও আর থাকতে পারবে না। এখুনি ওকে চলে যেতে হবে। উভয় স্তরের জীবের কোন যোগাযোগ নেই। রামলাল পৰ্যন্ত এসে যতীনকে আর দেখতে পেলে না। যত্নমের দেহ আবার তৃতীয় স্তরের মত হয়ে গিয়েচে । . يم * রামলাল বল্পে-কোথায় গেলে, ও যতীনন্দ ? থাকো থাকে, যাও কোথায় ? ও"যতীনন্দ। ততক্ষণে নরকের প্রবল আকর্ষণে আশাও তার নিজের স্তরে নীত হয়েচে । যতীন দীর্ঘনিশ্বাস ফেললে। এ জগতের এই নিয়ম। আশা সত্যিই বলেচে, কোনটা স্বপ্ন কোনটা আসল তা বােঝবার যো নেই। লে কোন দেবতা, যার শরণ সে নিতে চায়, এ স্বপ্নের শেষ করতে চায়! করুণাময় এমন কে মহাদেবতা আছেন, র্যায় কৃপা কটাক্ষে। আশা তো আশা কত । মহাপাপী উদ্ধার হয়ে যায় চোখের এক পলকে, মহারুদ্রের জ্যোতিথ্রিগুলোর এক চমকে অনন্ত ব্যোম ঝলমল করে ওঠে। পুণ্যের আঁলোয়, পাপতাপ পুড়ে হয়। ছালখায়, অন্যাস্তব স্বপ্নের অবসানে। হে অনন্তশয়নশায়ী নিদ্রিত মহাদেবতা, জাগো, জাগো ! ..