পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ఫిడి প্রাপ্ত হইতে লাগিলেন, সুতরাং পতিব্ৰতা ধর্মের মিতান্ত পক্ষপাতিনী হইয়। নব নব অকপট প্রণয়-ভাব প্রকাশ দ্বারা পতির মনোরঞ্জন করিতে লাগিলেন । যে সাত্বিক মহোদয়গণ ঈশ্বরনিষ্ঠ বিদুষী সহবাসে কালযাপন করেন, তাছারাই অরবিন্দ ও চন্দ্রপ্রভার তাৎকালিক সন্তোষ উত্তম রূপে অনুভব করিতে পারবেন। একদা প্রদোষকালে অরবিন্দ ও চন্দ্রপ্রভ সুশীতল সমীরণ সেবনাৰ্থ এক পুষ্পোপ্তানে গমন করিয়৷ স্বভাবের সৌন্দৰ্য্য দর্শন করিতে লাগিলেন । দেখিলেন, অশোক, কিংশুক, বহ্নিদীপক, বহুলগন্ধ, গন্ধরাজ প্রভৃতি কুসুম-সমূহ প্রস্ফুটিত হইয়া উদ্যানের অপূৰ্ব্ব শোভ সম্পাদন করিতেছে, মন্দ মন্দ গন্ধবছ তুকান্ধ বহনপূৰ্ব্বক চতুর্দিক আমোদিত করিতেছে। সন্তোষ-প্রদ হরিদ্বর্ণগাঢ়-পল্লবাকীর্ণ, নির্জন, শাস্ত-রসাম্পদ লতাকুঞ্জস্থিত পত্ৰচয় চৰ্ম্মচটিক, উলুকাদি নিশাচর পক্ষ কর্তৃক বিকম্পিত হইয়া যেন ভাবুক কবিগণকে আহবান করিতেছে । ক্রমে বিধুমণ্ডল ব্যোমমগুলে অভু্যুদিত হইয়া সুনিৰ্ম্মল ভু্যতিনিকর দ্বার। ভমিত্ৰ বিনাশ করিল। মাৰুতহিল্লোলে সরোবরের তেীয়রাশি হিল্লেলিত হওয়াতে প্রতিবিম্বিত সুধাংশুর অংশু সহস্রাংশে অংশিত হইয়। সরোজিনীর সুচিত্রিত শয্যা স্বরূপ প্রতীয়মান হইতে লাগিল । নক্ষত্ৰাদি গ্ৰহগণ নভোমণ্ডলে স্বপ্রকুশে হইয়া সৰ্ব্বশক্তিমান বিশ্বকৰ্ত্তার অচিন্ত্য রচম ও অনন্ত মহিমার পরিচয় দিতে লাগিল । চন্দ্রপ্রভ স্বভাৰের এই সকল ৰুচিরত্ব দর্শন করিয়া রাজকুমারকে সম্বোধন পূর্বক কছিলেন, “ নাথ ! প্রকৃতিদেবীর কি মনোহর ভাব ! দেখুন স্থষ্ট বস্তু সমূহই তন্নিখাতার অশ্চির্য্য নির্মাণ-কৌশল এবং অনন্ত শক্তি প্রকাশ করি