পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ দেবারবিন । লম্বনে অসমর্থ হইয়। মৃত্যুস্বরে রাজকুমারকে সম্বোধন পূৰ্ব্বক কছিলেন, “ নাথ ! আমি অতিশয় পিপাসিত হইয়াছি, যদি পারেন, কিঞ্চিৎ জীবনদান করিয়া এ দাসীর জীবন রক্ষা কৰুন।” রাজকুমার অমনি ব্যতিব্যস্ত হইয়। বারি অন্বেষণে গমন করিলেন । সৌভাগ্য বশতঃ কিয়দর গমনাস্তেই এক কুনিৰ্ম্মল বারি-গর্ভ সরিং দেখিতে পাইলেন । অনন্তর দ্রুত পদচারে তৎসমীপবর্তী ছইয়া পদ্মপত্রের পাত্র নির্মাণ করতঃ জলাহরণ পূর্বক তীরে উঠলেন। প্রত্যাগমন কালে অজ্ঞাতসারে এক বিষধর অস্থির গাত্রে পদ বিক্ষেপ করিয়াছিলেন । মধ্যtহ্ন সময়ে উষ্ণতপের প্রখরতপে তাপিত হইয়া ভূজঙ্গগণ স্বভাবতই সমধিক ভীষণ হয়, ঈদৃশ সময়ে ঐ তীক্ষ-বিষপন্নগ রাজকুমার কর্তৃক দলিত হওয়াতে তর্জন গর্জন পূৰ্ব্বক তাছাকে দংশন করিয়া বিবরে প্রবেশ করিল। স্বপনন্দন আর এক পদ ও অগ্রসর হইতে পারিলেন না ; কেবল “ হা প্রিয়ে, কোথায় রছিলে ” এইমাত্র বলিয় অসহ বিষের জ্বালায় হত-চৈতন্য হইয়া ভূতলে পতিত হইলেন। ঘন ঘন শ্বাস বহিতে লাগিল, সুপরিণত বিশ্ব সদৃশ সুবর্ণ ওষ্ঠাধর অঞ্জনের স্বায় বিবর্ণ হইয় গেল, মুহুমুহু মুখ হইতে লাল-বিম্ব নির্গত হইতে লাগিল । ক্রমে রাজকুমার দাৰুণ কালকূট-প্রভাবে তুস্ত-তপোপরি মস্থানিদ্রায় নিদ্রিত झझेलन ! এদিকে রাজকুমারী বহুক্ষণ পতির প্রত্যাগমনপেক্ষা করিলেন, কিন্তু তিনি প্রত্যাগত না হওয়াতে যুখ-ভ্রষ্টা করেণুর ন্যার সোৎকষ্ঠিত লোচনে ইতস্ততঃ অৰলোকন করিতে লাগিলেন। তখন তাছার পতি-আগমন-তৃষ্ণ অতি প্রবল ছওয়াতে বারিতৃষ্ণ অপনীত হইল । তিনি মনে মনে বিবেচনা করিতে লাগিলেন, বুঝি নাথের