পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । తిక সহিত একত্রিত হইয়া সকলে মহাসমারেছের সস্থিত গুজরাট দেশে যাত্ৰা করিলেন এবং অনতি দীর্ঘকাল মধ্যেই দ্বারাবতী নগরীতে উপস্থিত হইলেন। মহারাজ শৈলরাজ ও মহিষী কুচিত্র পুত্ৰ-বিরহে কণ্ঠাগত-প্রাণ হইয়াছিলেন ; অকস্মাৎ বধুসহ মন্দমজয়কে আগত, দেখিয়৷ একেবারে আনন্দ-মীরে সিক্ত হইলেম । সোদরদ্বয় বাটীতে প্রবেশ করিয়া ভক্তি সহকারে জমক জননীর চরণ বন্দনা করিলেন। নরেন্দ্র ও মহিষী প্রণত পুত্রদ্বয়কে যুগপৎ আলিঙ্গন করিয়া তাপিত হৃদয় শীতল করিলেন । তদনন্তর চন্দ্রকলা ও চন্দ্র প্রভা ক্রমে নিকটবর্ভিনী হুইয়। শ্বশুর শ্বশ্বকে প্রণাম করিলেন। রাজ ও রাজী বধূদ্বয়ের ভুবনমোহিনী রূপ অবলোকন করিয়া কৃতার্থমন্ত হইলেম এবং রাজী তাহাদিগকে স্বীয় উৎসঙ্গ দেশে বসাইয় মেছের সহিত নন। প্রকার মঙ্গলাচরণ করিতে লাগিলেন । দেরাজ ও অরবিন্দের আগমনে দরকানগরী মহামছোৎসৰে পরিপূর্ণ হুইল । ষেন রামচন্দ্র লক্ষণের সহিত পিতৃআজ্ঞা পালন করিয়া চতুর্দশ বৎসরান্তে অযোধ্যায় প্রত্যাগত হইলেন । রাজবাটী আনন্দ কোলাস্থলে অভ্যাকুল হইয়া উঠিল । চতুর্দিকে মলয়ঙ্গ কেশর, কুকুম, কস্তুরী ইত্যাদি সুগন্ধ দ্রব্যু বিক্ষিগু হইতে লাগিল । সমস্ত নগরী বেণু, বীণ, মুরজ, মন্দিরী, সপ্তস্বর, সারঙ্গ, রর্ব প্রভৃতির নিক্কনে মিনদিত হইতে লাগিল । চতুৰ্দ্দিগাগত অগণ্য অবরা, অন্ধ, খঞ্জ, দীন, দরিদ্রগণ স্ব স্বাভিপ্রেত দান প্রাপ্ত হইয়। হস্তোত্তোলন পূৰ্ব্বক আশীৰ্ব্বাদ করিতে করিতে বিদায় হইতে লাগিল । প্রতিপৃছে স্বত্য গীত অীরস্তু হুইল । নবরাজ-বধূ আগমনে পৌরাঙ্গনীগণ অন্তঃপুরদনে একত্রিত হইয় হুল হুলী দিতে লাগিল ।