পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ । 故 য়াও সুত-বিয়োগে এরূপ শোকাত হইয়াছিলেন যে, পুত্রের পঞ্চত্বের পর এক বৎসর পর্যন্ত তিনি রাজ্য-সংক্রাস্ত বা অন্য কোন বিষয়ে কৃপাতও করিতেন না, কেবল শোকাগারে শয়ন করিয়া অহরহ বিলাপ করিতেন। অবশেষে একদা বিজ্ঞতম অমাত্য-প্রবর চন্দ্রশেখর নরেন্দ্র-সদনে গমন করিয়া করপুটে কহিতে লাগিলেন, * রাজনৃ ! শোকে একান্ত কাতর হওয়া কাপুৰুষের লক্ষণ ; বিশেষ ভূপতিগণের নিতান্ত শুচাভিভূত হওয়া কোন ক্রমেই বিধেয় নহে, যাহাদের প্রতি ভূরি ভূরি দেশ ও প্রজা-ব্রজের মঙ্গলামঙ্গলের ভার দ্যস্ত রহিয়াছে, তাহার যদ্যপি স্বীয় স্বীয় নির্দিষ্ট কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্মে অবহেল। করিয়া, কেবল শোকেই মুগ্ধ থাকেন, তবে অবশ্বই তাহাদিগকে ঈশ্বরের কোপ হঁ হইতে হয় । আর দেখুন, জন্ম হইলেই মৃত্যু হুইয়া থাকে, কেহই অমর নহে, সকলের প্রতিই কালচক্র নিয়ত ভ্ৰাম্যমাণ হইতেছে, কোন না কোন সময়ে সকলকেই করলে " কালের কবল-শারী হইতে হুইবে । অধিকন্তু বিধির বিধি সৰ্ব্বত্রই ক্ষুবিধি বলিয়া বিবেচিত হয়। হে মনুজেশ্বর । বিবেচনা করিয়া দেখিলে এই জগৎ ইন্দ্রজাল মাত্র, সকলই ক্ষণিক, কিছুই চিরস্থায়ী নহে। সকলেই ঐন্দ্রজালিক-শক্তি-সস্তৃত জীবিত পুত্তলিকার ন্যায় এই অসার সংসার মধ্যে কিঞ্চিৎকাল ক্রীড়ান্তে অদৃশ্ব হইতেছে ; এজন্য হর্ষ বিষাদের প্রয়োজন কি ? জীব মাত্রেই ক্ষিতি, অপ, তেজঃ, ব্যোম, মৰুৎ, এই পঞ্চের সমষ্টি, সুতরাং উছ বিরুত হইলেই জীব-গণের এই প্রপঞ্চ-মর জগৎ পরিত্যাগ করিতে হয় ; তজ্জন্য শোকে নিতান্ত বিহবল ছওয়া কোন ক্রমে শ্ৰেয়স্কর নহে। তো অরিন্দম মহীক্ষিৎ! আর দেখুন, এই