পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবীরবিদ । بيt * নিকট আসিয়াছি।” এতচ্ছ বলে পার্থ ক্রোধে কম্পান্বিত কলেবর হুইয়। দেবরাজ ও অরবিন্দকে ত্বরায় সভায় জানয়মার্থ প্রতিহারীকে আদেশ করিলেন। দেবারিক অজ্ঞা মাত্র রাজ কুমার-দ্বয়কে সভামধ্যে অনিয়ন করিল। স্থপতি কুমার-দ্বয়কে নানাপ্রকার কটুক্তি করিয়া সকোপে বলিলেন, “ অরে দুরত্বনেরা ! অবিলম্বে তোরা অামার রাজ্য হুইতে দূরীভূত হ ।” সহোদর-যুগল এই প্রকারে সভামধ্যে চিরস্কৃত ও অপমানিত হওয়াতে যৎপরোনাস্তি বিষঃ-মন হইয়। উভয়ে পিতৃ-রাজ্য পরিত্যাগ করিবার পরামর্শ স্থির করিলেন । পর দিবস রজনী প্রভাতোমুখ হইলে কিঞ্চিৎ অর্থ ও উপযুক্ত পাথেয় সঙ্গে লইয়া ভ্রাতৃদ্বয় প্রশ্ৰেীবস্থ দুই প্রকাগু, বেথ-গামী, মনোনীত পৰুদ্বার-আরোহণ পূর্বক পুরদ্বার হইতে বহির্গত হুইয় জনক-রাজ্য পরিত্যাগ করিয়া চলিলেন । হুেমমালী সমুদিত হইলে মহারাজ শৈলরাজ গাত্রোথন করিয়া কুমার-দ্বরকে রাজ ভবনে ন দেখিয়া সাতিশয় ব্যাকুলতা-সহকারে তাছাদের অস্বেষণে চতুর্দিকে দৃত প্রেরণ করিলেন, মহিষী সুচিত্র। তাঙ্ক-ভূষণ তনয়-যুগলের আদর্শনে নিতান্ত অধীর স্থইর দশ-দিশ। শূন্য দেখিতে লাগিলেন, এবং * ছ। বৎস দেবরাজ ! হা বৎস আরবিন্দ ! তোমরা এ অভাগিনী জননীকে পরিত্যাগ করিয়। কোথায় পলায়ন করিলে ? একবার ক্রোড়ে বসিয। এ তাপিত হৃদয়কে শীতল কর ; তোমরা কি জান না যে এ হতভাগিনী তোমাদের বিছনে এক মুহূৰ্ত্তও জীবন ধারণ করতে পারে না ? হায়! কি হইল, কোথায় যাইব, কে আমার নয়ম-পুত্তলী-দ্বয়কে অমিয় প্রাণরক্ষা করিবে ?’ ইত্যাকার বিবিধ বিলাপ করিতে করিতে