পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবার বিশদ । মনোহর বপু-কান্তি অবলোকনে মোহিত হইয়া চিত্ৰপুত্তলী-প্রায় নির্নিমেষে তদীয় বদনারবিন্দ প্রতি নিরীক্ষণ কুরিয়া রছিলেন । আহা ! যেন রতিপতি আসিয়া রতির সহিত মিলিত হইলেন । কিরৎকাল পরে রাজকুমারী জিজ্ঞাসা করিলেন, “ হে মহাবাছো ! আপনি কে ? এবং কি নিমিত্ত ঈদৃশ ভয়ঙ্কর স্থানে আগমন করিয়াছেন” ? ব্লাজকিশোর ঈষৎ-ছাস্য পূর্বক উত্তর করিলেন, * আমি গুজরাটদেশাধিপতি শৈলরাজত্মজ, আমার নাম দেবরাজ, অষ্ট্র তোমার এই স্থানে যামিনী-যাপন করিব।” এতচ্ছ বণে রাজপুত্ৰী লোমাঞ্চিত-কলেবর ও হরিষে বিষাদিত হইয়। বলিসেন, * রাজকুমার ! কি নিমিত্ত জীবনবিনাশার্থ এই কদৰ্য্য স্থানে আগমন করিয়াছেন ? এখানে এক ভূরাত্মা দম্য বাস করে, সে এখনি আসিবে, আপনাকে এখানে দর্শন করিলে অবিলম্বে প্রাণ-সংহার করিবে ; অতএব সত্বর পলায়ন কৰুন । ” স্বপনন্দন প্রফুল্লামনে কছিলেন, “অরি ভীৰু ! ভীতি পরিত্যাগ কর, সেই হ্রাত্মা বিটপাচারীকে বধ করিয়া তোমার উদ্ধার করিব ”—এই বলিয়া একখানি শাণিত করবাল ধারণ করতঃ গুছ মধ্যে উপবেশন করিঙ্কেন । চন্দ্রকল। হর্ষ ও শঙ্কর মধ্যবৰ্ত্তিনী হইয়া অতি সাবধানে কাৰ্য্য-সাধনার্থ স্বপনন্দনকে নানাপ্রকার উপদেশ দিতে লাগিলেন । কিয়ৎকাল পরেই দ্যু দৈবসিক কাৰ্য সমাপনানস্তর গৃহে প্রত্যণবৰ্ত্তন করিল। স্থপমন্দিনীর গৃহদ্বার উন্মোচিত ও রাজকিশোরকে তথায় দর্শনে জ্বলদায় প্রায় হইয়া অরক্তিম নয়নে রাজকুমারের প্রতি কহিতে লাগিল, “রে তস্কর ! তুই কোন সাহসে আমার পুরীমধ্যে প্রবেশ করিয়াছিস ? জানিস না যে এস্থানে অসিলে তৎক্ষণাৎ শমন-ভবনে গমন