পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ8 দেবীরবিন । বোধ হইতেছে, আপনি জন্ম-গ্রহণ করিয়া কোন মহৎকুল উজ্জ্বল করিয়৷ থাকিবেন, অতএব আগ্ৰে অণপনার পরিচয় প্রদান কৰুম, পশ্চাৎ অামাদের ভুর্ভাগ্যের কথ! নিবেদন করিব । রাজকুমার কহিলেন, “ আমি গুজরাটাধিপতি শৈলরাজের কনিষ্ঠপুত্র, কোন কারণ-বশতঃ স্বদেশ পরিত্যাগ করিয়! এস্থলে আগমন করিয়াছি।” এতচ্ছবণে বন্দি-গণ দশন গ্রে রসনাগ্র দংশন পূৰ্ব্বক কহিল, “ হে ধরেন্দ্র-কুমার ! আপনি এ কদর্ষ্য স্থানে আগমন করিয়ছেন কেন ? এখানে এক মায়াকিনী পিশিতাশন বাস করে । সেই নিশাচরী কর্তৃকই আমরা এতাদৃশ দুর্দশাপন্ন হুইয়াছি। সে প্রতিদিন স্বৰ্য্যস্তকালে আমাদের এক এক জনকে ভক্ষণ করে। অতএব আপনি ত্বরায় পলায়ন কৰুন, নচেৎ ঐ মায়াবিনী দেখিবামাত্র উদরসাৎ করিবে, সন্দেছ নাই।” এই ভয়ঙ্কর বিষয় অবগত হইয়। রাজকুমার সাতিশয় ব্যগ্রত সহকারে এক অতিকায় চলঙ্গলের অন্তরালে দণ্ডায়মান থাকিলেন । কিয়ৎকাল পরে গগণমণ্ডলে ভয়ঙ্কর শবদ হইতে লাগিল । রাজকুমার উদ্‌গ্ৰীব হইয় দেখিলেন, নভোজষ্ট কুলিশ সদৃশ কিস্তৃত-কিমাকার ঐ নিশাচরী অসিতেছে । গৃহ সমীপে অগসিয়। উক্ত পিশিতাশন এক দিব্য স্ত্রীরূপ ধারণ করিল এবং উপর্যুক্ত বেশ হইতে একটি মনুষ্য আনয়ন করিয়া করস্থিত নিষ্প ফর খঙ্গ দ্বারা তদ্বধে উদ্রে কী হইল। এতদর্শনে অরবিন্দ কোপে প্রজ্বলিত হওত পশ্চাৎ দিক হইতে শুেনবৎ বেগে আসিয়া, বলপূৰ্ব্বক ঐ নিশাচরীর হস্ত হইতে অসি-খণ্ড গ্রহণ পূর্বক দৃড়াযাতে উহারই মস্তক ছেদন করিলেন । অনন্তর রাজকুমার পূৰ্ব্বোক্ত গৃহে প্রবেশ পূৰ্ব্বক বন্ধীগণকে বন্ধন-মোচন করিয়া দিলেন ।