এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেবী রাবিয়া।
এইরূপ অবস্থায় সাত বৎসর কাটিয়া গেল। অতঃপর রাবিয়া প্রতিবেশিনীর আশ্রয় ত্যাগ করিয়া পিতার কুটীরেই একাকিনী বসিয়া থাকিতেন; আর শ্রমকাতর পিতার পিপাসা দূরীভূত করিবার ইচ্ছায় দুর্লভ পানীয় জল সংগ্রহ করিয়া রাখিতেন। শ্রান্ত ইস্মাইল গৃহে ফিরিয়া রাবিয়ার সংগৃহীত জল পান করিয়া প্রাণ শীতল করিতেন।
রাবিয়ার বাল্য জীবন এইরূপ কষ্টে অতিবাহিত হইয়াছিল বলিয়া তিনি অল্প বয়সেই আত্ম-নির্ভর, সেবা-পরায়ণ, কর্ম্মঠ ও শান্ত গম্ভীর হইয়া উঠিলেন। দশ বৎসর বয়সে রাবিয়া মিতভাষিনী ও মিতব্যয়ী এবং পরিশ্রমী হইয়া উঠায় তাঁহার পিতার জীর্ণকুটীর খানিকে নিপুণ গৃহিনীর ন্যায় সাজাইয়া গুছাইয়া তুলিলেন।
৬