এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেবী রাবিয়া।
আহার করিতেন, আর সন্ধ্যাকালে স্নেহপূর্ণ পিতা মাতার শীতল কোলের মত শান্ত কুটীর খানিতে প্রবেশ করিয়া শৈশবস্মৃতি স্মরণ করিয়া অশ্রুপাত করিতেন। পল্লীর কোন কোন বৃদ্ধা কৃপা বশতঃ রজনীতে রাবিয়ার সঙ্গে শয়ন করিতেন; আর চির দুঃখিনী বালিকা বিছানায় পড়িয়া পিতার জন্য রোদন করিয়া করিয়া তপ্তশ্বাস ত্যাগ করিতেন। কিন্তু সে সুদীর্ঘ তপ্তশ্বাস হতভাগিনী রাবিয়ার বুকের বিষাদময় বেদনার লাঘব করিতে পারিত না।
এইরূপ দুঃখ বেদনায় দিন কাটিতে লাগিল। দিন যায় রাত্রি আসে, আবার রাত্রি যায় দিন আসে। কত পিতৃবৎসলার পিতা বিদেশ হইতে গৃহে আসিতেছে, কত ব্যবসায়ী ব্যক্তি বাণিজ্যে লাভ করিয়া আসিয়া স্নেহের
১১