এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেবী রাবিয়া।
দুর্ভাগ্য বৃদ্ধ ইস্মাইল পুনরায় কন্যার মায়ায় উন্মত্ত হইয়া শক্তিহীন পা দুখানি ধীরে ধীরে চালনা করিতে লাগিলেন। বড় কষ্টে ধীর পদে বৃদ্ধ কাতরতার সহিত ভীষণ প্রান্তর পার হইতে লাগিলেন।
নির্জ্জন কুটীরে বসিয়া, রজনীতে শয়ন করিয়া রাবিয়া কেবলই পিতার কথা ভাবেন। বৎসরেক কাটিয়া গেলে পর একদা সারা দিনের পরিশ্রমের শেষে বিকাল বেলায় রাবিয়া দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয়ে কুটীরের দ্বারে বসিয়া বালুকা-ভূমির দিগন্তহীন বিস্তার দেখিয়া, বৃদ্ধ পিতার বিপদ-কথা স্মরণ করিয়া তাঁহার মন আকুল হইয়া আর্ত্তনাদ করিতে ছিল। আর আগুনের মত মরুদগ্ধ বাতাস আসিয়া তাঁহার শোণিতশোষী তপ্তশ্বাস লুটিয়া লইয়া ছুটিতেছিল।
২৫