এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেবী রাবিয়া।
আর দিগন্তের বাতাসে খুব লড়াই হয়; তখন মেঘ চায় জল হইয়া মাটিতে নামিয়া পড়িতে, বাতাস চায় তাহাকে উপর দিকে উড়াইয়া দিতে। কাল কাল মেঘ গুলি চায় ক্ষেত ভাসাইয়া জল ঢালিতে, বাতাস চায় শস্যের ফুল কুঁড়ি গুলি ছিড়িয়া ফেলিতে।—এইরূপে খুব যুদ্ধ হইলেও শেষে মেঘেরই জিত হয়। বৃথা কতক্ষণ ঘর দুয়ার নাড়িয়া, বন লতা কাঁপাইয়া, গাছের পাতা ছিন্ন ভিন্ন করিয়া শেষে বাতাসের শক্তি ফুরাইয়া যায়; আর আপন মনে মেঘ গলিয়া বৃষ্টি ধারায় ধরাতল ভাসাইয়া পৃথিবী শীতল করিয়া দেয়। হায়! মানুষ কি দুর্বল! একটুকুতেই কেমন বিচলিত হইয়া পড়ে। প্রভাে! কবে তাহারা এই বৃষ্টি ধারার মত একনিষ্ঠ অধ্যবসায়ী, একনিষ্ঠ তন্ময় হইবে?
৬৪