পাতা:দেলারামের পুঁথি - মুন্সি গরিবউল্লা.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ২৪ )

রামের সাতে॥ টাকা কড়ি জমা করি করিয়া রোজ গার। তবেত দেখিতে পাব বিধির দিদার। এতে রলিয়া শাহ যায় নিকলিয়া। জঙ্গলের বিচে পুনঃ পেীছিল যাইয়া। যাইয়া জঙ্গলে যখন পৌছিল জামাল। কুড়ালি লইয়া হাতে কাটে কিছু ডাল॥ বান্ধিয়া রলিতে বোঝা নিয়া মাথপরে॥ না পায় কুয়ত শাহ চলে ধীরে ধীরে॥ বোঝা শিরে নিয়া শাহা নিকলিয়া যায়। মাথার পসিমা তাহা পদ বহি যায়॥ পিনের লেঙ্গটি গায় কাটার আঁচড়। এতেক বিপদ দেখ দুনিয়া উপর। ঝুটা মাসুকের দায় এতেক বেহাল। সাচ্চা মাসুকের কেহ না করে খেয়াল॥ দুঃখেতে যাহকে মিলে সেই বড় দোস। দুনিদারি দোস্তি পরে মার হে পাপোষ॥ দুনিয়ার মাসুক দেখ কড়ির পেয়ারা। তাহার কারণে কত হয় হোসহারা দিনের মাসুক দেখ আপে করতার। আপন খান। আর করেন পিয়ার॥ তাহার কারণে যদি করে এত দুঃখ। বেগর টাকায় দিদার পায় আর হয়ে সুখ॥ অধীন গরিব কহে ভাবিয়া খোদায়। আপনা আঙ্কলে লোকে আসুককে হারায়। তাহার তল্লাস কর যত। বন্ধুগণ। শাহাজাদা বোঝা লিয়া করিল গমন! ছিল যখন কাষ্ঠ লৈয়া শিরে। ভ্রমিতে লাগিল শাহ বাজারে বাজারে। একেত বর্ষিল বৃষ্টি করে ঝমা-