পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Go দেশবন্ধু-কথা ত তাহার কথা শুনিতে লাগিল ; অপূর্ব কৌশলের সহিত তিনি সরকারপক্ষের মামলা বিশ্লেষণ করিয়া তাহার অসারতা প্ৰতিপন্ন করিতে লাগিলেন ; মোকদ্দমার চেহারা বদলাইয়া গেল ; একটা গভীর ধন্যবাদে লোকের অন্তঃকরণ পূৰ্ণ হইয়া উঠিল। দুইটার সময় জজেরা উঠিয়া গেলেন, চিত্তরঞ্জন বাহিরে আসিলেন। চাফ জাষ্টিসের কাছারীঘর হইতে বার লাইব্রেরী পৰ্য্যন্ত সমস্ত বারান্দায় লোকের ভিড় লাগিয়া রহিয়াছে। লোক সসন্ত্রমে দুই দিকে কাতার দিয়া দাড়াইয়া মধ্যে পথ করিয়া দিল, বিজয়ী বীরের মত তিনি চলিয়া আসিলেন। সুতরাং ত্যাহার পক্ষে ব্যারিষটারী-জীবনের এই যে বিজয়োল্লাসের গর্ব, এই যে প্রচুর ও প্রভূত সম্মান ও গৌরব, ইহা ছাড়িয়া আসিতে বাস্তবিকই কিছু ক্লেশ হইয়া থাকিতে পারে —টাকা ছাড়িতে কিছুমাত্র হয় নাই । স্বীকার করি যে, এই সম্মান ও গৌরবের লক্ষ গুণ প্রতিদান তিনি পরে দেশবাসীর নিকট পাইয়াছিলেন । কিন্তু পাইব বলিয়া ত ছাড়েন নাই—ছাড়িয়াছিলেন নিজের চিত্তের একটা অসাধারণ প্ৰাচুৰ্য্য ও বিশালতা ছিল বলিয়া। কিছু রাখিয়া ঢাকিয়া করিতে দেশবন্ধু জানিতেন না—নিজেকে নিঃশেষে বিতরণ করিয়া দেওয়া ছিল তাহার স্বভাবের ধৰ্ম্ম । নিজের জন্য কিছু পুজি রাখিয়া তিনি কোন কাজে লাগিতে পারিতেন না-একেবারে পুজি শেষ করিয়া লাগিয়া যাইতেন। ংগ্রেস হউক, কাউন্সিল হউক, মোকদ্দমা হউক, কোন কাজেই দুই আনা হাতে রাখিয়া চৌদ্দ আন কাজে লাগাইয়া তিনি সন্তুষ্ট