পাতা:দেশবন্ধু রচনাসমগ্র.pdf/৩৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ১৫৬ দেশবন্ধু রচনাসমগ্র যেমন করিয়াই হউক জাগাইয়া রাখিতে হইবেই হইবে। ইহারি উপরে আমাদের সকল আশাভরসা নির্ভর করিতেছে। আমাদের দেশে এমন অনেক. উপহাস রসিক আছেন, যাহারা বলেন "তোমরা কি করিতে চাও”—তোমরা কি Company-র রাজত্ব উন্টাইয়া দিবে?” এ কথার উত্তর অতি সহজ। আমর৷ আর কিছু চাই না-—আমরা আমাদিগকে মাহম্ব করিতে চাই। ইংরাজের সহিত ‘আমাদের শুধু রাজা-প্ৰজা সম্বন্ধ। ইংরাজের আইন আমাদিগের মানিয়া চলিতেই হইবে; কিন্তু ইংরাজকে আমাদের সমগ্র জাতীয়ুজীবন কখনই অধিকার করিতে দিব না। ইংরাজের আইনের গণ্ডির বাহিরে, ইংরা জের সহিত আমাক্রের যে ক্ষেত্রে সম্বন্ধ, তাহারও বাহিরে বিস্তৃত। কাৰ্য্যক্ষেত্ৰ পড়িয়া রহিয়াছে। আর্যরা সেইধানে আমাদের মতার বিজয়নিশান উত্তোলন করিব। আমরা সেইখানে বাঙ্গালীর কলঙ্ক ঘুচাইব। আমর! সেইখানেই আপনাকে মাতুষ করিয়া তুলিব। তারপর যে অন্য মতান্ পুরুন্য আপনাকে সকল বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে, সকল মানবের মধ্যে, সকল জাতির মধ্যে, সকল জাতীয় ইতিহাসের মধ্যে প্রকাশ করিতেছেন, তিনি কি ভাবে—কি রূপে বাঙ্গালীর জাতীয় ইতিহাসের মধ্যে প্রকাশ করিতেছেন, তিনি কি ভাবে—কি রূপে বাঙ্গালীর জাতীয় ইতিহাসের মধ্যে আপনাকে প্রকাশিত করিবেন, তাহা তিনিই জানেন—শুধু তিনিই জানেন।

বাঙ্গালীর বঙ্কিমচন্দ্র

আপনারা অনেকে হয় ত জানন অথবা শুনিয়াছেন যে, আমি বাঙ্গলার ও বাঙ্গালী সভাতার পক্ষপাতী বলিয়া সাহিত্যে আমার একটা দুৰ্ণাম আছে। এজন্য অনেক সাহিত্যরথী আমার মধ্যে বিশ্বাত্মবোধের একান্ত অভাব। নিরীক্ষণ করিয়া অতিশয় ক্ষুঃ হইয়াছেন এবং উত্মার সহিত সে কথা তাহারা। ভাষায় ব্যক্ত করিতে কুষ্টিত হন নাই। আমি সেজন্য লজ্জিত নই। এমন কি আজ বাজলার যুগ-সাহিত্যের একজন শ্রষ্টী, নেতা ও ত্রাতার স্বতি-শেখরের দিকে উেকরজোড়ে তাকাইয়া বাঙ্গালীকে আবার আমি বলিতে সাহস করিতেছি যে, ভাই বাঙ্গালী,-তুমি তোমার বাগলাকে ভুলিও না। বঙ্কিমচন্দ্র বাঙ্গালীকে বাঙ্গালী হইতে বলিয়া গিয়াছেন। যদি তুমি বাঙ্গাকে ভুল, বাঙ্গলার অতীতের ইতিহাস খুজিয়া না দেখালোর শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব ধর্মের মর্ম না বুব, বাঙ্গলার ্যায়, গর্শন, বাংলার স্মৃতি, বাললার তত্ত্ব ও দীক্ষাপ্রণালীবাদলার সমাজবিন্যাস, বাললার সাহিত্য-ঐক কথায় বাংলার সভ্যতাকে প্রাণপাত করিয়া বুৰিবার