পাতা:দেশবন্ধু রচনাসমগ্র.pdf/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশবন্ধ রচনাসমগ্র দিক দিয়াও দেখা যায়, সেটা আমাদের নিজ নিজ শাসনবিভাগ অর্থাৎ ‘গবৰ্ণমেন্টের দিক দিয়া । এই শেষোক্ত দিক দিয়া বিচার করিতে হইলে ইহা নিশ্চয়ই বলা যায় যে, ‘ছইটি স্বতন্ত্র জাতি নিজ নিজ বিশিষ্টরূপেই বিকশিত হইয়াও এই ছটি জাতির শাসনবিভাগের উপর দিকে একটা একচ্ছত্র যোগাযোগ থাকিবে। বাঙ্গালী জাতির ও ভারতবর্ষের অত্যান্ত্য জাতির ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে তাহাদের পরস্পরের শাসনবিভাগের একটা সম্বন্ধ স্থাপিত হইবে এবং সমস্ত ভারতবর্ষের যে শাসনবিভাগ, তাগার সহিত ইংলণ্ডের সম্বদ্ধ, একটা বাস্তবিক সম্বন্ধ গড়িয়া উঠিবেই উঠিবে। কিন্তু সেই সম্বন্ধের ভিতরের প্রকৃতি কি হইবে, বাহিরের আাকার হইবে, তাহ ঠিক করিয়া বুৱা এবং বলা অসম্ভব। তার কি এখনও সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহ বোম্বাই কংগ্রেসে বলিয়াছিলেন :- “It seems to me that having fixed our goal it is hardly necessary to attempt to define in concrete terms the precise relationship that will exist between England and India " when the goal is reached,* অর্থাৎ ~আমাদের যে উদেণ্যতাই সম্পূর্ণভাবে সফল হইলে ইংলণ্ডের সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যে ঠিক কি সম্বন্ধ থাকিবে, তা নির্ধারণ করিবার চেষ্টা । “আমার মতে এখন অনাবশ্যক। আমার ঠিক তাহাই মনে হয়, তবে এই পৰ্য্যন্ত বলা যায় যে, এমন সম্বন্ধ হইতে বা থাকিতে পারে না, যাহাতে আমাদের ও ইংরাজের জাতীয় স্বভাব থমে র বিনাশ-সাধন হইবে। ধু জাতিত্বের দিক দিয়া দেখিতে গেলে ইংরাজ "ও বাঙ্গালীর বখার্থ মিলনভূমি স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়। আমি আগেই বসিয়াছি, ছুইটি জাতি যখন নিজ নিজ প্রকৃতির মধ্যে নিজ নিজ স্বভাবধর্মের শুণে উম্মত অবস্থা প্রাপ্ত হয়, তখনই তাহাদের মধ্যে যথার্থ আদান-প্রদান ও মিলন সম্ভব হয়। যখন ইংরাঙ্গ ও বাঙ্গালী এই উভয় জাতিই সেই প্রকার । উন্নতির পথে অগ্রসর হইবে, তখনই তাহাদের মধ্যে প্রকৃত মিলন হইবে। প্রকৃত মিলনের ফল এই যে, শত শত ভিন্ন ভিন্ন বিশিষ্টরূপে বিকশিত স্বতন্ত্র জাতিসমূহ বিধাতার সৃষ্টি শ্রোতে ভাসিতেছে, ফুটিতেছে, ইমাদের সকলের মধ্যে যে একটাএকত্ব , এই সব ডিলাপের যে স্বরূপ, তাহার সন্ধান পাওয়া যায়। বৈশিষ্ট্য লুথ হয় না। জাতিষ মরে না-গুল্লু সকল্প জাতির মধ্যে সকল বিশিষ্টরাপের মধ্যে যে একত্ব আছে, তাহাই লাগিয়া উঠে। এই