পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪২
চরিতাষ্টক

গোল মিটিয়া গেল। বোধ হয়, এমন স্থলে হিন্দুর অপ্রিয় ব্যক্তিগণের কৃতকার্য্য হওয়া কঠিন হইত। যাঁহারা তৎকালে “হিন্দুয়ানি” রাখিতে লজ্জা বোধ করিতেন, তাঁহারা অবশ্যই দেখিয়াছেন এবং দেখিতেছেন যে, রাধাকান্তের “হিন্দুয়ানি” কত কাজে লাগিয়াছিল।

 রাধাকান্তদেব সব প্রথমে ইংরাজী পুস্তকের অনুকরণে বাঙ্গালা বর্ণপরিচয় ও নীতিকথা নামক ক্ষুদ্র গ্রন্থ প্রচার করেন। তদ্ব্যতীত আরও কয়েকখান বাঙ্গালা পুস্তক প্রণয়ন করিয়াছিলেন। ইংলণ্ডের “রয়াল এসিয়াটিক সোসাইটি” তাঁহার প্রথম বঙ্গালা পুস্তক সকলের প্রশংসা করিয়াছিলেন। ১২২৯ সালে তাঁহার সুবিখ্যাত শব্দকল্পদ্রুমের প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়। ঐ সুবিশাল অভিধান গ্রন্থের সঙ্কলনে তিনি সংস্কত সাহিত্যের কিরূপ শ্রীবৃদ্ধি করিয়া গিয়াছেন, কিরূপ অক্ষয় কীর্ত্তি পতাকা উডঙীন করিয়া গিয়াছেন, পৃথিবীর সর্ব্বত্র কিরূপ স্মৃতি-স্তম্ভ রাখিয়া গিয়াছেন, তাহার লক্ষ লক্ষ সাক্ষী বর্তমান রহিয়াছে; সুতরাং তৎসম্বন্ধে আমাদের কিছু না বলিলেও চলে। তথাপি যথাস্থানে এবিষয়ে আর কিছু বলা যাইবে।

 স্কুলবুক্ সোসাইটির তৎকালীন প্রধান পণ্ডিত গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কারের সহযোগিতায় রাধাকান্ত দেব একখানি পুস্তক বাহির করেন। স্ত্রীগণকে লেখা পড়া