পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭২
চরিতাষ্টক।

নৈতিক সভার অধিকতর উন্নতি হইয়াছিল; কিন্তু তিনি হঠাৎ এদেশ ত্যাগ করায় সভা ভাঙ্গা পড়িয়া গেল। বোধ হয়, যেন আবার পূর্ব্বাপেক্ষা অধিক শক্তির সহিত গাত্রোত্থান করিবার জন্যই সভার অবনতি হইয়াছিল। রামগোপালের দ্বিগুণ যত্নে ও পরিশ্রমে সভার কাজ আবার উত্তমরূপে চলিতে লাগিল। এই সময়ে ফৌজদারী বালাখানায় সভার অধিবেশন হইত। কিছু দিন পূর্ব্ব হইতেই সাহেব ও সুশিক্ষিত বাঙ্গালিদিগের মধ্যে মনোবাদ চলিয়া আসিতে ছিল। সাহেবদের বিবেচনায় তখনকার সুশিক্ষিতগণ অত্যন্ত অবিনয়ী হইয়া উঠিয়াছিলেন। যে হেতু তাঁহারা প্রাচীন বাঙ্গালিদিগের ন্যায় সাহেবদের সম্মান করেন না, এবং জেতৃগণের সঙ্গে রাজনৈতিক সমান স্বত্ব ভোগ করিতে চান। রামগোপালের সভার বক্তৃতা দ্বারা সুশিক্ষিতগণের মত সমর্থিত হইত। এই জন্য এই সময়ে ঐ মনোবাদ আরও বর্দ্ধিত হইয়াছিল। বিশেষতঃ ঐ সময়ে গবর্ণমেণ্টে একটী ফৌজদারী আইনের পাণ্ড‌ুলিপির বিচার হইতে ছিল। তাহাতে সাহেব ও বাঙ্গালিদিগকে একবিধ শাসনের অধীন করা প্রস্তাবিত হইয়াছিল। রামগোপালের সভা উহার পক্ষতা করিয়াছিলেন। সাহেবরা ইহা জানিতে পারিয়া “তেলে বেগুনে জ্বলিয়া গেলেন” রামগোপালই, “অসমান ব্যক্তিগণের মধ্যে সমতা স্থাপনের মূল,” ইহা