পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭৪
চরিতাষ্টক।

কার্য ক্ষমতা প্রকাশ পাইত। একবার শিক্ষা বিভাগ হইতে এইরূপ একটা নিয়ম হয় যে, তৎকালীন যাবতীয় বাঙ্গালী স্কুলমাস্টারদিগকে বাঙ্গালা ভাষায় একটা নির্দ্দি ষ্ট পরীক্ষা দিতে হইবে, উত্তীর্ণ হইতে না পারিলে চাকরী যাইবে। রামগোপাল প্রতিবাদ করিয়া এই নিয়ম রহিত করিয়া দেন। তাঁহার প্রতিবাদের মূল যুক্তি এই, যাঁহারা বালককাল হইতে কেবল মাত্র ইংরাজী ভাষার আলোচনা করিয়াছেন, ভাল করিয়া বাঙ্গালা শিখেন নাই, হঠাৎ তাঁহাদিগকে বাঙ্গালা পরীক্ষার অধীন করিয়া বিপদে ফেলা অন্যায়। কলিকাতাস্থ গবর্ণমেণ্ট হাউসের দক্ষিণে গড়ের মাঠে পূর্ব্বতন গবর্ণর হার্ডিঞ্জ সাহেবের যে প্রস্তরময়ী প্রতিমূর্ত্তি অশ্ব পৃষ্ঠে দৃষ্ট হয়, তাহা রামগোপালের মনঃসম্ভূত। কয়েক জন ক্ষমতাশালী বক্তা ঐ রূপ মূর্ত্তি নির্মাণের প্রতিবাদ করিয়াছিলেন। কিন্তু রামগোপাল তাঁহাদিগকে নিরস্ত করিয়া আপনার মত বজায় রাখিতে অসমর্থ হন নাই। কোন বিষয়ের তত্ত্বাবধান বা অনুসন্ধান করিবার জন্য গবর্ণমেণ্ট সময়ে সময়ে যে কমিটী নিযুক্ত করিতেন। তাহার কোনটাই রামগোপালকে ছাড়িয়া হইত না। ১২৫৫ সালে তিনি কলিকাতার ডিস‍্ট্রিক‍্ট দাতব্য চিকিৎসালয়ের মেম্বার হন।

 যখন ১২৬০ সালে (১৮৫৩ খৃঃ) কোম্পানির সনন্দ