পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
চরিতাষ্টক।

সাহায্য দিবার জন্য কলিকাতা মহানগরীতে চাঁদা সংগ্রহের এক সভা হয়। রামদুলাল ঐ সভায় লক্ষ টাকা দান করেন। হিন্দুকলেজ প্রতিষ্ঠাকালে তিনি ৩০০০ তিন হাজার টাকা দান করেন। এতদ্ব্যতীত তিনি প্রতিদিন অফিসে বসিয়া ৭০ টাকা দান করিতেন। প্রায় চারিশত দরিদ্র প্রতিবেশীকে প্রতিদিন আহার দিতেন। তাঁহার নিকট সর্ব্বদাই অনেক কর্ম্মার্থী উপস্থিত থাকিত। তিনি অত্যন্ত সতর্কতার সহিত ঐ উমেদার গণের অভাব অনুসন্ধান করিতেন। কোন ২ ব্যক্তিকে পরিবার পালনে সমর্থ করিবার জন্য তাহাদের বাসায় ব্যাঙ্কনোট্ প্রেরণ করিতেন; কিন্তু নোট্ কোথা হইতে আসিল, তাহারা তাহার কিছুই জানিতে পারিত না। কখন বা কাহার হাতে, তাহার বাড়ী হইতে আসিয়াছে বলিয়া, একখানি পত্র দিতেন। সে পত্র খুলিতে উদ্যত হইলে, শান্তভাবে কহিতেন;—“এই পত্র মধ্যে মন্দ সম্বাদ থাকিতে পারে, বিদেশীয় গণের সম্মুখে শোকমোহ জনক সম্বাদ পাঠ করা উচিত নহে। বাসায় গিয়া পত্র পাঠ করিও।” বাসায় গিয়া ঐ ব্যক্তি পত্র খুলিবামাত্র দেখিতে পাইত তন্মধ্যে ৫০, ৬০ কিম্বা ১০০ এক শত টাকার ব্যাঙ্ক নোট রহিয়াছে। তাহার বিস্ময়ের সীমা থাকিত না। কোন ব্যক্তিকেই রামদুলালের নিকট বিফল প্রার্থনা করিতে হইত না। পরদুঃখ মোচনের ইচ্ছা,