পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রামদুলাল দে।
৬৩

সম্পদের সময় ঐ ব্যক্তির পরিজন দিগকে সন্ধান করিয়া মাসিক ১৫৲ টাকা বৃত্তি অবধারিত করিয়া দেন।

 হালা নামক কোন পোর্টুগীজের অধীনে তিনি প্রথমে লাভবান হন। এইজন্য তাঁহার যাবতীয় কাজ কর্ম্মের সহিত ঐ তাগ্য শালীব্যক্তির নাম সংসৃষ্ট রাখিয়া ছিলেন; এবং হালার মরণান্তর তাঁহার পরিবারের দুরবস্থায় পড়িলে তাহাদিগকে বৃত্তি দিতেন।

 কৃতজ্ঞতা সম্বন্ধে রামদুলাল যে সকল কার্য্য করিয়া ছিলেন, বর্ত্তমান কালে তাহা প্রশংসার বিষয়, সন্দেহ নাই। আমরা ভরসা করি, তাঁহার কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থ অর্থ অপব্যয়িত হয় নাই। কিন্তু তাঁহার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রণালী, সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ বলিয়া স্বীকার করা যায় না। প্রয়োজন না থাকিলেও, উপকারীর উপকার করিতেই হইবে, বোধ হয়, বিশুদ্ধ কৃতজ্ঞতার লক্ষণ এরূপ নহে। কাহার নিকট হইতে উপকার প্রাপ্ত হইয়া যদি মানুষের উপচিকীর্ষা বৃত্তির স্ফ‌ুর্ত্তি হয়, তবেই বলা যাইতে পরে প্রকৃত কৃতজ্ঞতার কার্য্য হইল। যেমন মনুষ্য শরীরের প্রত্যঙ্গ সকল, কোন কারণেই প্রত্যঙ্গ বিশেষের নিকট বাধিত নহে, সকল শরীরের নিকট ঋণী, শরীরের যেখানে যখন যে কার্য্যের প্রয়োজন হইবে, প্রত্যঙ্গ তাহাই করিবে, সে স্থান হইতে কোন উপকার পাইয়াছে কিনা ভাবিবে না; প্রত্যেক ব্যক্তিই সমাজ-শরীরের