পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৮
চরিতাষ্টক

উদ্যত হইল। এমন অবস্থায় ভয়ে অভিভূত হইয়া গাছ হইতে পড়িয়া যাওয়াই সম্ভব। কিন্তু গোবিন্দ তৎক্ষণাৎ এরূপে সাপের গলা টিপিয়া ধরিলেন, যে, সে আর দংশন করিতে পারিল না। কিন্তু লাঙ্গূল দ্বারা তাঁহার হস্ত জড়াইয়া ধরিল। গলা ছাডিয়া দিলে দংশন করে; এদিকে এক হস্তের আশ্রয়ে বৃক্ষ হইতে অবতরণ করাও সুকঠিন। প্রস্তুত-বুদ্ধি বালক আপনাকে এইরূপ বিপন্ন দেখিয়া তখনি একটী সদুপায় উদ্ভাবন ও অবলম্বন করিলেন। যে ক্ষমতা, নিরাশ্রয় দুঃখী বালককে ভবিষ্যতে সম্ভ্রম জনক ও গুরুভার-বহরাজকীয়পদে উন্নত করিয়াছিল, পাঠকগণ তালিতরুর শিখর দেশে নাগপাশ-বদ্ধ বালাকের নবীন জীবনে অদ্য তাহার অঙ্ক‌ুর দেখিতে পাইবেন। গোবিন্দ কোন রূপে অপর হস্ত দ্বারা লাঙ্গুলের অগ্রভাগ ধরিয়া একৎ বেড় খোলেন, আর তালীয় খড়গ[১] ছিন্ন করিয়া ভূতলে নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন।

 এই সময়ে একজন পরিব্রাজক সন্ন্যাসী যদৃচ্ছাক্রমে ভ্রমণ করিতে২ এই স্থানে উপস্থিত হইলেন। কথিত আছে, তিনি তৎকালে নির্দ্দিষ্ট গুণ বিশিষ্ট একটা শিষ্যের অনুসন্ধান করিতেছিলেন। সহসা তাল বৃক্ষোপরি দৃষ্টি সংযোগ হওয়ায় এক অদ্ভ‌ুত নাট্যের অভিনয় দেখিতে


  1. তালের বাগুলা, দুই ধার করাতের ন্যায়। উহাকে তালীয় খড়্গ বলে।