এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৸৹ )
সম্পাদন ক্রিয়া নির্ব্বাহিত হয়। বহুবিধ পরিবর্ত্তন ও পরিবর্দ্ধনের পরে খৃঃ পূ: ২৫০ অব্দে পাটলিপুত্রের মহাসভায় ত্রিপিটকের শেষ সংস্করণ লিপিবদ্ধ হয়।[১] সূত্রপিটকে বুদ্ধদেব কর্ত্তৃক ধর্ম্মতত্ত্বালোচনের বিষয়, বিনয়পিটকে সংযম (Discipline) ও অভিধর্ম্মে আধ্যাত্মিক তত্ত্বাবলী (Metaphysics) আলোচিত হইয়াছে। এতন্মধ্যে সূত্রপিটকে ধর্ম্মতত্ত্বসন্ধন্ধীয় বুদ্ধোক্তিসমূহ নিবদ্ধ হয়। এইজন্য সূত্রপিটকের অন্য নাম বুদ্ধবচন ও “মূলগ্রন্থ”। এই উক্তি সমূহ হইতে সারনীতি সংগ্রহ করিয়া যে সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ
- ↑ J. B. Saint-Hilaire, the Buddha and his Religion, p. 96. and Ency. Britannica vol. IV. p. 432. বুদ্ধদেবের মৃত্যুর পর উরুবিল্ব নিবাসী মহাপণ্ডিত কাশ্যপই জ্ঞানগাম্ভীর্য্যে ও ধর্ম্মসাধনায় সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বলিয়া গৃহীত হন। আনন্দ বুদ্ধদেবের নিত্য সহচরও প্রিয় শিষ্য ছিলেন। উপালি নীচ কুলোদ্ভব হইলেও ধর্ম্মজনিত উন্নতি লাভ করিয়া বিনয় বিভাগের প্রধান উপদেষ্টা বলিয়া আদৃত হন।