পাতা:ধরা যেথা অম্বরে মেশে.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রিচন্ন “ধরা যেথা অম্বরে মেশে” ছোট্ট মাটিকাটীর নাম, লেখিকাও একট ছোট্ট মানুষ, কুমারী অলোকা রায়। নাটিকাট একটা ব্যর্থ প্রেমের করুণতম কাহিণী নিয়ে, পড়া শেষে মনটা যেন বিষাদে মগ্ন হয়ে যায় ; কিন্তু তার সঙ্গেই মনে জেগে ওঠে, একটী বিস্ময়মিশ্র প্রশংসার ভাব । এত কম বয়সের মেয়ের পক্ষে রচনাট খুব পাকা এবং মুনীর হয়ে ফুটে উঠেছে। ভবিষ্যতে যদি লেখার সুযোগ থাকে, মেয়েট একজন নামকরা মুলেখিকা হতে পাৰ্ব্বেন, এ খুব জোর করেই ভরসা করতে পারা যায়। মাধবমিত্রা এবং শাস্তিকা এই দুটা চিত্রই দুদিক থেকে সমান ভাবেই আমাদের মনে দাগ কেটে দেয়। অত্যন্ত করুণভাবেই যদিও এদের পরিসমাপ্তি হলো, তথাপি আমরা যেন, শাস্তিকার ভবিষ্যৎ জীবনের মহান কৰ্ম্মপদ্ধতির এবং আচার্য্যের আরদ্ধ কৰ্ম্মের সুব্যবস্থিত পরিবেশের মধ্যে আত্মসমর্পণের আভাষ তার শেষ কয়টা কথার মধ্য হইতেই পাইয়া পাকি। অসংযত যে ধৰ্ম্ম নয়, সংযত চরিত্র নরনারী গঠন ব্যতীত দেশের উন্নতি যে অসম্ভব এই সত্য অলোকা রায় হৃদগত করিয়া তাহার একটী সুন্দর পরিকল্পনা আমাদের মধ্যে প্রচার প্রচেষ্টা করে আমাদের প্রশংসা ও আশীৰ্ব্বাদ লাভ করেছেন । ভগবানের কাছে অস্তরের সঙ্গে প্রার্থনা করছি, অসুস্থ শরীর তার সত্বর আরোগ্য হোক। আমরা আবার যেন তার হাত থেকে উন্নত চরিত্র যুক্ত সুন্দর সুলিখিত রচনাবলী লাভ করে আনন্দিত হতে পারি। শ্ৰীমতী অনুরূপ দেৰী ।