পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশা, আনন্দ ও বল। সময়ে সময়ে একটা কথা বড়ই মনে হয়। সে কথাটা এই ঃ —মনে কর, একজন একটী উদ্যান করিযাছেন ; নানা দেশ হইতে অনেক পরিশ্রম ও ব্যয় করিয়া উৎকৃষ্ট ফলের গাছ আনিয়া তাহাতে রোপণ করিয়াছেন ; কিন্তু বৎসরের পর বৎসর যাইতেছে, একটী ফলের মুখ দেখিতে পাইতেছেন না। মাটীতে কিরূপ দোষ আছে, অথবা বৃক্ষের মূলে কিরূপ কীট লাগে, যে জন্য বৃক্ষগুলি ভাল করিয়া বাড়ে না ; এবং যদিও বা প্ৰাণে প্ৰাণে বঁচিয়া থাকে, তাহাতে ফল ধরে না । ইহা দেখিলে সকলে কি বলেন ? সকলেই কি বলেন না, মাটী “খুড়িয়া দেখ, মুলে কি দোষ আছে, নূতন মাটী লগাও, ভাল করিয়া সার দেও ; যে বুক্ষে কিছু হইবে না, যাহাতে সাংঘাতিক রোগ লাগিয়াছে, তাঁহাকে উৎপাটন করিয়া ফেল ; নূতন বৃক্ষ বসা ও, তবে উদ্যান ভাল হইবে ?” সেইরূপ যদি দেখিতে পাই, একটা ধৰ্ম্মসমাজ রহিয়াছে, নরনারী নিয়মিতরূপে উপাসনাতে তাসিতেছে, যাইতেছে, বাহিরে দেখিতে সত্যস্বরূপের অৰ্চনা করিাতেছে ; অথচ, জীবনে কোন ও পরিবর্তন নাই, চরিত্রে কোন ও সুফল দেখা যাইতেছে না, তাহারা সত্যস্বরূপের অৰ্চনা হইতে জীবনের সংগ্ৰাম মধ্যে যে কোন ও সহায়তা পাইতেছে এরূপ মনে হয় না ; বৎসরের পর বৎসর যাইতেছে, তাহদের কোন ও