পাতা:ধর্ম্মজীবন (তৃতীয় খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sir st-iro হইবে। সংক্ষেপে বলি, শিক্ষার উদ্দেশ্য এই--মনের মধ্যে এমন কিছু দিয়া দেওয়া, যাহার গুণে মানুষ ভাল মন্দ দুই দেখিয়া ভালটাই লইবে ও মন্দটী পরিহার করিবে। সে জিনিসটা কি ? সেটী সাধুতার জন্য ক্ষুধা, জীবনকে উন্নত করিবার জন্য জ্বলন্ত আগ্রহ, নিজের ও অপরের কল্যাণের জন্য আন্তরিক ইচ্ছা । যেমন যে শিক্ষা জ্ঞানের সামগ্ৰী যোগায়, কিন্তু জ্ঞানসম্পূহ উদ্দীপ্ত করিতে পারে না, তাহা শিক্ষাই নাহে ; তেমনি যে শিক্ষা হৃদয়ে এই জাগ্ৰত কল্যাণ-কামনা অভূদিত করিতে পারে না, মন্দটীকে বর্জন করিয়া ভালটা লইতে সমর্থ করে না, তাহাও শিক্ষা নহে। অতএব কল্যাণ যাহার হৃদয়ে বাস করে, সে দুৰ্গতি প্ৰাপ্ত হয় না । আর এক অর্থে কল্যাণকৃৎ ব্যক্তি দুৰ্গতি প্ৰাপ্ত হয় না । মনে করা যাউক, তিনি যাহা করিতে চাহিলেন তাহার কিছুই হইল না ; তাহার প্রভাব কোনও জীবনে বিস্তৃত হইল না ; কেহই তাহার সাধুতা লক্ষ্য করিল না বা স্বীকার করিল না ; তাহা হইলেই কি বলিতে হইবে যে তিনি দুৰ্গতি প্ৰাপ্ত হইলেন ? তাহার সাধু চেষ্টা বিফলে গেল ? কখনই নহে। মানুষ কল্যাণকে হৃদয়ে ধারণ করিয়া, এবং কল্যাণের অনুষ্ঠান করিয়া, অপরের কিছু উপকার করুক। আর না করুক নিজেকেই উপকৃত করে। প্ৰত্যেক কল্যাণ-চিন্তাতে ও কল্যাণের অনুষ্ঠানে তাহার নিজের চৱিত্ৰ ফুটিতে থাকে ; এবং তাহার নিজের প্রকৃতি সাধুতার অনুগড়, সাধুতার উপযোগী, ও সাধুতার উৎসস্বরূপ হইতে থাকে।