পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S O S *ā可ay করিতেছে, অর্থসঞ্চয় করিতেছে, নিজের শ্ৰীসম্পদ বৃদ্ধি করিাতেছে ; ইহা ত প্ৰত্যক্ষ ঘটনা । ইহার মধ্যে ঈশ্বর কোথায় ? আমরা কি তর্কের দ্বারা কাহাকে ও জীবনের এই সকল কাৰ্য্যের মধ্যে ঈশ্বরকে দেখাইয়া দিতে পারি ? আমরা যদি বলি, “ভাই, তুমি এক কাজ করিতেছি না, তোমার সঙ্গে আর একজন আছেন।” তবে কি সে। তঁহাকে দেখিতে পায ? তাহা পায় ন! ! অথচ এই সকলের মধ্যেই যে আর একজন আছেন, তাহাতে সন্দেহ ও নাই । এই তাছার মহিমা যে তিনি আমাদিগকে স্বাধীন করিয়া ও আপনার অধীন রাখিয়াছেন । ধানুকীর ধনুঃ-নিক্ষিপ্ত শীর যতই দ্রুতগতিতে ও সরল রেখাতে সাউক না কেন, পরিণামে যেমন বক্রাকার গতিতেই ধরাতালে পতিত হয়, সেইরূপ আমরা এ জগতে যতই স্বাধীনভাবে নড়ি চড়ি, কাজ করি না কেন, পরিণাসে আমাদের দ্বারা তাহারই ইচ্ছ। পূর্ণ হয়। একটু নিবিষ্ট চিন্তে চিন্তা করিলেই দেখিতে পাই, আমরা এ জীবনের কর্তা ও অধ্যক্ষ নাহি ! এই জীবনকোলাত সন্মুখ দিয়া বহিয়া চলিয়াছে, আমরা যেন নদীর কূলে বসিয়া তাহার গতি নিরীক্ষণ করিতেছি। নদীর স্রোতে যেমন নানাবিধ পদাৰ্থ ভাসিয়া আসে, দৃষ্টিপথের অতীত প্ৰদেশ হইতে ভাসিয়া আসিয়া দৃষ্টিগোচরে আবির্ভূত হয় এবং অল্পকালের মধ্যেই আবার দৃষ্টিপথের বহির্ভূত হইয়া যায়, সেইরূপ যেন এই জীবনের ঘটনাবলী কোন ও অজ্ঞাত প্ৰদেশ হইতে ভাসিয়া আসিয়া ক্ষণকাল দৃষ্টিপথের অন্তর্ভুত থাকিতেছে, আবার