পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भ! भी बुक निद्रांक (gतt९ । ) { প্ৰতি ঘৃণা বাড়িবে; ততই ব্যাকুলতা ও ক্ৰন্দনের মধ্যেই তাহার কৃপা । এই ব্যাকুলতাই প্ৰমাণ যে তিনি তোমাকে পরিত্যাগ করেন নাই। একজন যাহাকে অস্তরের সহিত স্মৃণা করে তাহাতেই বার বার পতিত হয়, ইহাতে তাহার অন্তরে যে কিছু আত্ম-নিভরের ভাব থাকে একেবারে চুর্ণ হইয়া যায় এবং সে সৰ্ব্ববাস্তঃকরণের সহিত ঈশ্বরের করুণার উপরে নির্ভর করিতে শিক্ষা করে । ইহা মানবা সুর পক্ষে পরম কল্যাণকর অবস্থা তাহাতে সন্দেহ কি ? অতএব আমাদের প্রাথনি যে অনেক সময়ে পূর্ণ হয় না। তাহ আমাদেরই কল্যাণের জন্য । দ্বিতীয়তঃ, আর এক কারণে আমাদের প্রার্থনা অনেক সময়ে পূর্ণ হয় না। অনেক সময়ে আমাদের প্রার্থনার মধ্যে প্রকৃত নিৰ্ভরের ভাব থাকে না । গুরু নানক যেমন বলিয়াছেন—“বোঁও জানে। তেঁ ও তারো স্বামী” । “হে স্বামিন ! তুমি যেরূপে চাহ সেইরূপেই আমাকে উদ্ধার কর ।’ আমরা সেরূপ বলি না । আমাদের প্রার্থনাকে বিশ্লেষণ করিয়া দেখিলে অনেক সময়ে দেখিতে পা ওয়া যায় যে, আমরা যে কেবল ঈশ্বর-চরণে প্রার্থনা করিতেছি তাহা নহে, কিন্তু কোন সময়ে ও কোন প্ৰণালীতে আমাদের উদ্ধার সাধন করিতে হইবে তাহা ও বলিয়া দিতেছি । এইরূপে ঈশ্বরকে আদেশ, বা উপদেশ করিবার ভাবে যে প্রার্থনা করা হয় তাহা পূৰ্ণ হয় না । প্রার্থনার প্রাণ অকপটচিত্ততা ও পূৰ্ণ নির্ভর ! তোমার যেরূপে ইচ্ছা হয় সেইরূপে আমাকে রাখি, এই ভাব যে প্রার্থনার মধ্যে থাকে,তাহাই প্ৰকত প্রার্থনা ;