পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মের শক্তির প্রমাণ কোথায় ? Tr?--oCeমহাত্ম যীশু একদিন তাহার ধৰ্ম্মকে দম্বলের সহিত তুলনা করিয়া বলিলেন - “আমার ধৰ্ম্ম দন্সলের ন্যায়” । একজন সুদীলোক এক কলস দুগ্ধে দম্বল দিয়া রাখিল, প্ৰাতে দেখে সমুদয দুগ্ধ দধি হইয়। গিয়াছে, আমার ধৰ্ম্ম ও সেইরূপ । ইতিহাস তাহার এই বাকে (র সাক্ষা দিয়াছে । জগতের যে সকল প্রদেশে তাহার ধৰ্ম্ম প্ৰধান রূপে প্রচারিত হইয়াছে, সেখানে ইহা বাস্তবিক দন্সলের কার্না করিয়াছে। গ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম ঈহার জীবনের প্রথম চারি পােচ শতাব্দী কাল ব্যাপিয়া প্ৰধানতঃ রোমীয় সামাজ্যের প্রধান প্ৰধান নগর ও রোমের শাসনান্তগত প্রদেশে প্রচারিত হইয়াছিল। এই কয়েক শতাব্দীর ইতিবৃত্ত পাঠ করিলে দেখিতে পা ওয়া যায়, দুটা প্ৰধান বিষয়ে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম সুমহাহ, পরিবর্তন ঘটাইয়াছিল। প্ৰথম, রোমে, গ্রীসে, ও মিসরে সর্বত্রই পৌত্তলিকতা প্ৰচলিত ছিল। শিক্ষিত রোমকগণ এই পৌত্তলিকতাতে বিশ্বাস করিতেন না ; কিন্তু ইহা রাজনীতির একটা অঙ্গ স্বরূপ হওয়াতে ও অজ্ঞ প্রজাকুলকে শাসনাধীন রাখিবার প্রয়োজন থাকাতে, তাহারা বাহিরে ইহার প্ৰতি এক প্রকার অস্থা প্ৰদৰ্শন করিতেন । তাহারা প্রজাপুঞ্জের ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস ও রীতি নীতিকে অবজ্ঞার চক্ষে দেখিতেন ; কখন কখনও প্ৰকাশ্যভাবে উপহাস ও বিদ্রেরূপ করিতেন ; অথচ কাৰ্য্য