পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মেব শক্তির প্রমাণ কোথায় ? RS করিতেন না বটে, কিন্তু ভঁাহারা যে সুমহৎ পরিবর্তন ঘটাইয়াছিলেন তাহ বলের দ্বারা নহে । তাহারা যে দিন ঘোষণা করিালেন যে ঈশ্বর পরমাণু ও তাহাকে আ দু,ার দ্বারা ও প্রীতির দ্বারা পূজা করিতে হয়, সেই দিনই এই মহৎ পরিবর্তনের সূত্ৰপাত হইল। এই আদর্শ যে পরিমাণে মানুষের হৃদয়কে অধিকার করিয়া বসিতে লাগিল, সেই পরিমাণে পৌত্তলিকতার পুরাতন ভাব হৃদয় হইতে অন্তিহিত হইতে লাগিল। ঈশ্বরকে আত্মাতে রাখিয়া প্ৰেমে পূজা করিতে হইবে, এই কথার সঙ্গে পৌত্তলিকতা মিলে না, এই কারণেই পৌত্তলিকত। স্বস্থানচুত হুইয়া পড়িল । মানুষ যখন একটা নূতন আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে, তখন আপনার সমুদয় চিন্তা, সমুদয় কার্স্য সমুদয় রীতি নীতি ও সমুদয় সামাজিক বিধি ব্যবস্থাকে তাহার সঙ্গে মিলাইয়। দেখে এবং যে চিন্তা, যে ভাব, যে রীতি ও যে সামাজিক ব্যবস্থা তাহার সঙ্গে মিলে না, তাহ কে পরিবর্তিত করিয়া লইবার প্ৰয়াস পায়। এই কারণেই তখনকার লোকে ঈশ্বরের ষে নূতন ভাব হৃদয়ে পাইল তাই ার সঙ্গে মিলাইয়া পৌত্তলিকতাকে বর্জন করিলা । আর একটী বিষয়ে সুমহৎ পরিবর্তন লক্ষিত হইয়াছিল। প্রাচীন কালে মানবাত্মার মহােঙ্গ জ্ঞান অতি-অপরিস্ফুট ছিল। জগতের বাল্যাবস্থাতে বধবর জাতি-সকলের মধ্যে সৰ্ব্বদা যুদ্ধ বিগ্ৰহ ঘটিত, তখন আপনাদের দলকে রক্ষা করাই প্ৰত্যেকের সৰ্ব্বপ্ৰধান উদ্দেশ্য ছিল । কারণ তাহারা জানিত, যে দলের