পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মের শক্তির প্রমাণ কোথায় ? 9 R * প্ৰভাবে যাহার হৃদয় পরিবর্তন হয় নাই, যাহার পাপে অরুচি ও পুণ্যে রুচি জন্মে নাই, বাসনা নিবৃত্ত হয় নাই, ঈশ্বর লাভের জন্য ব্যাকুলতা জন্মে নাই, তাহার ধৰ্ম্মজীবনই জন্মে নাই । এরূপ লোক একটা সমাজবদ্ধ থাকিলেও তাহ। ধৰ্ম্মসমাজ নহে । দশজন লোক যদি এরূপ থাকে, যাহাদের অস্তরে প্রকৃত ধৰ্ম্মের আগুণ জুলিয়াছে, সেই দশজনকে লইয়া প্ৰকৃত ধৰ্ম্মসমাজ হয় ; যে সকল ব্ৰাহ্ম ব্ৰামিকার অন্তরে ধৰ্ম্মাগ্নি নাই তাহারা বাহিরে দেখিতে ব্ৰাহ্ম ব্ৰাক্ষিকা ; কিন্তু তাহার এখনও ধৰ্ম্মরাজ্যে প্ৰবেশ করে নাই। প্ৰত্যেকে আপনি আপনি হৃদয়ের দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া দেখুন-ঈশ্বরের শক্তি কি অগ্নির ন্যায় কাৰ্মা করিতেছে ? সে উৎস কি হৃদয়ে খুলিয়াছে, যাহা হইতে তাজ! তাজা ধৰ্ম্ম ভাব নিতা নিত্য উৎপন্ন হইতে পারে, যাহা হইতে বিশ্বাস প্রেম ও বৈরাগ্য উৎসারিত হয় ? যদি সে উৎস না। খুলিয়া থাকে, তবে আমরা ধৰ্ম্মজীবন হইতে দুরে রহিয়াছি। এ ত পুরাতন কথা বলিতেছি। প্রাচীন কালের পূজ্যপাদ ভারতীয় ঋষিগণ যে ঈশ্বরের নামকে “দগ্ধোন্ধনমিবানলং” বলিয়াছিলেন তাহার কারণ কি ? অগ্নির সহিত ইহার তুলনা কোথায় ? অগ্নির চারিটি শক্তি। অগ্নি আলোক দেয়, অগ্নি তাপ দেয়, অগ্নি কঠিন ধাতুকে দ্রব করে, অগ্নি পদার্থ সকলকে পরিাবৰ্ত্তিত করে। ঈশ্বরের নাম অর্থাৎ ঈশ্বর-শ্ৰীতি যখন হৃদয়ে প্রবেশ করে তখন এই চারি প্রকার কার্য্যই করিয়া থাকে । ইহা আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকে উজ্জ্বল করে, অবদান্ন ও মৃতপ্রায় আত্মাকে