পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YVO 3 शील्यैदन् । অনুভব করা যায় যে, অনন্ত সৌন্দৰ্য্য ও অনন্ত শৃঙ্খলা চারিদিকে ঘিরিয়া রহিয়াছে, এবং এই জীবন তাহার কেন্দ্ৰস্থলে ফুটিয়া উঠিতেছে, তখন মন এক নিস্তরঙ্গ ঘনানন্দের রাজ্যে প্রবেশ করে। যোগিগণ ও ভাবুকগণ অনেকে এই নিস্তরঙ্গ ঘনানন্দ অনুভব করিয়া থাকেন। সেই অস্তঃস্ফুৰ্ত্ত আনন্দ প্ৰেমকে আশ্রয় করে না, কিন্তু অস্ত্ৰ-তৃপ্ত হইয়া আত্মাতেই অবস্থান করে । দ্বিতীয় শ্রেণী এই আনন্দেই সন্তুষ্ট । কিন্তু ইহাই কি ধৰ্ম্মের ও ধাৰ্ম্মিকের চরমাবস্থা ? কখনই নহে । এইটুকু পাইয়। যাঁহার। প্রতিনিবৃত্ত হন, তাহারাও জীবনের সুধা ভাল করিয়া পান করেন না । ইহার উপরে অার এক ভাব আছে, জীবনের চাবি সেইখানে । তাহা ভক্ত ও প্ৰেমিকদিগের ভাব । ভক্ত যে কেবল এই জগতের ও মানব-জীবনের পশ্চাতে শুঙ্খলা ও সৌন্দর্ঘ্য দর্শন করেন তাহা নহে ; জীবনের মহাগীতির ভিতরে যে কেবল সুব, তাল ও লয় অনুভব করিয়া থাকেন তাহা নহে ; ঐ মহাগীতির প্রণেতা যিনি, মিনি অধিকারী হইয়া নাটদিগকে সাজাইয়া আসরে আনিতেছেন, এবং নিজে পাশ্চাতে থাকিয়া সুর দিয়া গাওয়াইতেছেন, তঁহার কণ্ঠস্বর অনুভব করিয়া থাকেন। যেই তাহাকে চিনিতে পারা, অমনি যেন সমুদায় মহাকাব্যের তাৎপৰ্য্য হৃদয়ঙ্গম হইয়া যায় । সুখ, দুঃখ, সম্পদ, বিপদ, সকলেরই মধ্যে সেই স্বর কাণে বাজিতে থাকে। ভক্তি চাবি স্বরূপ হইয়া জগৎ, জীবন, সাধু ও শাস্ত্ৰ সমুদায় খুলিয়া সমুদায়ের মুধ্যে পরমার্থ