পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S\O ቐኝ€ffiዝቐeï ! দ্বারা ধৰ্ম্মের বিচার করিয়া থাকেন । তাহারা যে সকল মতকে বিশুদ্ধ ও যুক্তির অনুমোদিত বলিয়া জানিয়াছেন, সে গুলিকে যদি কেহ মানে তবেই সে ধৰ্ম্মে আছে, আর সে গুলি যে না মানে সে ধৰ্ম্মের বহিভূত। এই সংস্কার হৃদয়ে থাকাতে সকল দেশে এবং সকল সম্প্রদায় মাধো ঘোরতর বিবাদ চলিতেছে । সামান্য মতভেদের জন্য এক শ্রেণীর সদাশয় লোক অপর শ্রেণীর সদাশয় সাধু প্ৰকৃতি-সম্পন্ন ব্যাক্তিদিগকে এত নি গ্ৰহ করিতেছে যে, লোকে দাসু্যাতষ্কারদিগকে সেরূপ নিগ্ৰহ করে না । কিন্তু ধৰ্ম্ম এ তিনটীর কোনটীতেই নাই । ধৰ্ম্ম সাধনের জন্য সে এ গুলির প্রয়োজনীয়তা নাই তাহা নহে । বীজের পক্ষে যেরূপ কোষ, ধৰ্ম্মের পক্ষে এ গুলি ও সেইরূপ । কিন্তু ধৰ্ম্ম ইহার বাহিরে ও ইহার উপরে। ধৰ্ম্ম কেবল দৃষ্টিতে ! অধ্যা স্ত্ৰ ও প্ৰেমদৃষ্টিতে এই জগৎকে দেখার নামই ধৰ্ম্ম । গীতাকার বলিয়াছেন ঃ “অন্তবন্ত ইনে দেহা নিত্যস্যোক্তাঃ শারীরিণঃ’ অর্থাৎ—‘এই সমুদায় পরিমিত বস্তু সেই নিত্য অবিনাশী আত্মার দেহ স্বরূপ অর্থাৎ আচ্ছাদন সরূপ । ” যাহার। এই ভাবে জগৎকে দর্শন করেন তাহারাষ্ট ধাৰ্ম্মিক। দেখা আর না দেখার উপরে সকলই নির্ভর করে । তুমি যদি বলিলে এ জগৎটা কেবল মাটিা আর পাথর, তবে ইহা তোমার নিকট মাটি ও পাথরের অতিরিক্ত আর কিছুই নহে। তুমি যদি বলিলে জীবনটা কিছুই নহে কেবল প্ৰত্যেকের আত্ম-রক্ষার