পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মজীবন । প্ৰেম জন্মিতে পারে । আগে ভাবিতাম প্ৰেম আবার কি, ভক্তি আবার কি, একাগ্ৰচিত্তে ঈশ্বরকে স্মরণ করিলেই ত ভক্তি জন্মিবে। এখন বুঝিতেছি বৈষ্ণব সাধুগণ যে বলিয়াছেন, অনেক জন্মের তপস্য। না হইলে ভক্তি জন্মে না, তাহার ভিতরে অর্থ আছে। অর্থাৎ ভক্তি এতই দুস্বপ্রাপা বস্তু যে অনেক জন্মের তপস্যাতে ও কুলায় না । বৈষ্ণবগণ যে বলিয়াছেন “জগতের সারা ভক্তি মুক্তি তার দাসী৷” ইহার ও অর্থ আছে। আগে মুক্তি পরে ভক্তি, ভক্তি মুক্ত আত্মাদিগের পক্ষেই সম্ভব। ঈশ্বর-প্ৰেম ত পরের কথা, মানুষ যখন অকপটচিত্তে ও নিৰ্ম্মল মনে মানুষকে ভালবাসে তাহা দেখিলে বা স্মরণ করিলে ও চিত্র উন্নত হয় । প্ৰেম মানুষকে নিৰ্ভয় করে । প্ৰেমাস্পদের সঙ্গে আত্মা নিরুদ্বেগে বাস করে । সেই আত্মার বিশ্রামের স্থান, সেই আত্মার আরামের ভূমি, শিশু যেমন মাতুক্ৰোড়ে, পক্ষি-শাবক যেমন মাতৃ-পক্ষের মধ্যে, তেমনি ভক্তের তা তু! ভি ক্ৰবৎসলের চরণ ছায়ায় বাস করে ; এ জগতে থাকিয়া সে উদ্বিগ্ন থাকে না ; কিন্তু সুখ দুঃখের ভার তাহার হাতে দিয়! প্ৰসন্নচিত্তে বাস করে। 1. ---