পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिछङ् । VrY) যায়। সকল সাধু সাধবীকে আপনার লোক ও সকল সাধু কাজকে আপনার কাজ বলিয়া মনে হয় । এই জন্যই বলিয়াছি এ রাজ্যের সম্বন্ধ সকল ও নূতন । যে পরিবর্তনে এক দিকে এত পরিবর্তন ঘটায়, তাহাকে কি দ্বিজত্ব বলা অসঙ্গত ? কখনই নহে । তবে এই দ্বিজত্বে সুপ্রিতিষ্ঠিত হওয়া কালসাপেক্ষ । এক দিনে মানুষের মুখটা ঈশ্বরের দিকে ফিরিতে পারে, কিন্তু সমগ্ৰ প্ৰকৃতিটাকে ঈশ্বরেচচ্ছার অধীন করা বহুকাল ও বহুসাধন সাপেক্ষ । এক পলাশীর যুদ্ধে স্থির হইয়াছিল যে এদেশ মুসলমানদিগের হস্তে না থাকিয়া ইংরাজিদিগের হস্তে থাকিবে ; কিন্তু সেই এক দিনে অর্জিত দেশকে আয়ত্ত্বাধীন করিতে ও ইহার সকল বিভাগকে শাসনাধীনে আনিতে ইংরাজিদিগের দেড়শত বৎসর গিয়াছে। সেইরূপ এক দিনে তোমার মনে প্ৰতিজ্ঞী উঠিতে পারে যে, আর প্রবৃত্তিকুলের দাসত্ব করিব না, এবার ধৰ্ম্মের ও ঈশ্বরের তানুগত হইব, কিন্তু সেই আনুগত্য স্থাপন করা, প্ৰকৃতির সকল বিভাগকে ঈশ্বরের বশবত্তী করা, এক একটি অভ্যাস-শৃঙ্খলকে ছিন্ন করা বহু আয়াসসাধা । মানুষ যখন দ্বিজত্ব পায়, যখন তাহার প্ৰাণে ব্যাকুলতার উদয় হয়, তখন তাহার এমনি বাগ্রতার উদয় হয়, যেন এক দিনের বিলম্ব আর সয় না ; তখন সে ঈশ্বরকে বলিতে থাকে- "হে হরি, তুমি ত নিমেষে পাতকীকে তরাইতে পার, আমাকে তরাইতে আর বিলম্ব কর কেন ?” যে নরকের পঙ্কিল হ্রদের গভীর গর্ভে পড়িয়াছিল, সে ব্যাকুলতার মুহুর্তে