পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুদের সাক্ষ্য । ని আধ্যাত্মিক সত্যের সাক্ষাৎকারের আর এক প্রকার দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শন করা যাইতে পারে। একবার একটি ইংলণ্ডীয় ধনিসন্তানের একটা বিবরণ পাঠ করিয়াছিলাম, তাই এই । একবার একজন ধনিসন্তান পিতৃমাতৃহীন হয়। পিতৃমাতৃহীন হইয়া সে নিজের জ্যেষ্ঠতাতের হাতে পড়ে। জ্যেষ্ঠতাতটা কৃপণস্বভাব বিষয়ী লোক ; বিযয় চিন্তাতে র্তাহার হৃদয় জর্জরিত, সে হৃদয়ের কোমল ভাব সকল বিলুপ্ত প্ৰায়, সুতরাং সে বালক তাহার নিকট স্নেহ ও প্রীতির নিদর্শন কিছুই পাইত না জেঠাই মা ও ততোধিক, ঐ নারী নিজে যদিও পুত্ৰইন ছিলেন এবং মনে করিলেই এই হতভাগ্য বালককে নিজ পুত্ররূপে গ্ৰহণ করিতে পারিতেন, কিন্তু তাহার স্বার্থপর ও নিৰ্ম্মম অস্তরে সে প্রীতি ছিল না, তিনি তিক্ত ও কঠোর ব্যবহারে ঐ বালকের হৃদয়কে চির-বিষন্ন করিয়া দিয়াছিলেন । আর দুই একটা স্ব-সম্পৰ্কীয় স্ত্রীলোক ও ছিলেন, তাহারও স্বার্থপরতার মূৰ্ত্তি, নিজেদের খুটিনাটি লইয়াই সর্বদা ব্যস্ত থাকিতেন, এ বালকের প্ৰতি মনোযোগ করিতেন না । বালকাটাকে সকলেই অন্তৰ্ম্মনা ও চির-বিষন্ন দেখিতে পাইত। সে কাহারও নিকট মন খুলিত না । যে দুই এক জনের নিকট মন খুলিত, তাহদের সহিত নারী প্ৰকৃতি লইয়। বিবাদ হইত । সে নারী-দ্বেষী হইয়াছিল । সে বলিত, নারী-প্ৰকৃতির প্রশংসা ষে লোকে এত করে সে সমুদয় কল্পিত কথা। প্রণয় বলিয়া যে একটা কিছু আছে, তাহ। নহে ও সমুদয় কেবল স্বার্থের খেলা, নর-নারীর নিকৃষ্ট প্রকৃতির