পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুদের সাক্ষ্য । AIV) দেশ ভ্রমণের জন্য পাঠাইলেন। যুবক দেশ ভ্ৰমণ করিতে গেল ; কিন্তু দিক-দৰ্শন যন্ত্রের কঁাটা যেমন উত্তর দিকেই ফিরিয়া থাকে, তেমনি তাহার মন ঐ বালিকার দিকে ফিরিয়াই রহিল । বহু দিন পরে বিদেশ হইতে প্ৰত্যাগত হইয়া আবার সেখানে যাতায়াত আরম্ভ করিল। তখন জ্যেষ্ঠতাত বিপদ গণনা করিতে লাগিলেন এবং কল কৌশল পরিত্যাগ করিয়া সাক্ষাৎভাবে নিষেধ আরম্ভ করিলেন, “তুমি ওখানে যাইতে পরিবে না । আমাদের মত অবস্থার লোকের এরূপ হীনাবস্থ ব্যক্তিদিগের সহিত বন্ধুতা করা ভাল নয় ; ও বালিকাকে তুমি বিবাহ করিতে পারিবে না ; ও তোমার উপযুক্ত স্ত্রী কখনই নহে ।” এই বিষয় লইয়া জ্যেষ্ঠতাতের সহিত যুবকের বিরোধ উপস্থিত হইল;তিনি ক্ৰোধ করিয়া তাহার সমুদায় পৈতৃক বিষয় তাহাকে বুঝাইয়া দিলেন এবং নিজ ভবন পরিত্যাগ করিতে অী:দেশ করিলেন । যুবক গৃহ-তাড়িত হইয়া সেই রমণীর পাণিগ্ৰহণ করিবার জন্য অগ্রসর হইল। তখন একজন বন্ধু এক দিন হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল,“কি হে ভাই, এই না তুমি বলিতে প্ৰণয় বলিয়া একটা কিছু নাই, নর-নারী পরস্পরকে স্বসুখপরতার জন্যই আশ্রয় করে। এখন কি বল ? প্রণয় বলিয়া একটা কিছু আছে কিনা ?” তখন ঐ যুবক সলজ্জভাবে বলিল, “আগে আমি অন্ধ ছিলাম ; এখন দেখিয়াছি, বুঝিয়াছি, সে ভ্ৰম ভাঙ্গিয়া গিয়াছে।” পূর্বোক্ত দুইটী দৃষ্টান্তে সকলে পারমার্থিক সত্যের সাক্ষাৎ ? ○