পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুদেয় সাক্ষ্য । স্বাধীনতাতে বাধা দেও দেখিবে, কিঞ্চিৎক্ষণ পরেই সে কঁাদিয়া উঠিবে। জীব স্বাধীনত চায়। কেন তবে “প্ৰবৃত্তিকুলকে সংযত কর” সাধুদের মুখে এ উপদেশ শুনিতে ভাল লাগে ? —কেন এই এক বিষয়ে ও এক স্থানে আমরা আনুগত্য ও দাসত্বকে এত স্মৃহিণীয় মনে করি ? ইহাতে কি প্রমাণ হয় না। যে, ঈশ্বর আমাদের আত্মাতেই সন্নিহিত রহিয়াছেন ? আমাদের স্বরূপের সহিত তাহার স্বরূপ মিশ্রিত বলিয়াই আমাদের উৰ্দ্ধদিকে গতি, সংযমের প্রতি আমাদের এত নিষ্ঠ । আমাদের হৃদয়ের উপরে সাধু মহাজনগণের যে এত প্রভাব তাহারও মূল এই খানে। আমাদের প্রকৃতিতে যে স্বাভাবিক পারমার্থিকতা আছে, তঁাহারা তাহারই মুখপাত্ৰ। এই জন্য তাহাদের এত আদর। আমরা সর্বোচ্চ অবস্থাতে হৃদয়ে যে সৰ্বোচ্চ ভাব ধারণ করি, তাহদের মধ্যে তাহাই প্ৰতিফলিত দেখি, এই জন্য আমাদের চিত্তের উপরে তাহদের এতটা শক্তি। তুমি যদি আমাকে ক্ষুদ্র কথা বল, ক্ষুদ্র আদর্শ দেখাও, ক্ষুদ্রে আসক্ত কর, তুমি আমারই মত একজন দুর্বল মানুষ,- তোমার বন্ধুতা না থাকিলেই আমার পক্ষে ভাল হইত ; যাহারা আমার চিত্তকে ক্ষুদ্র বিষয় হইতে তুলিয়া মহৎ বিষয়ের অনুধ্যানে নিযুক্ত করেন, আমাকে প্ৰবৃত্তিকুলের উপরে জয়শালী করিয়া প্ৰকৃত স্বাধীন জীব করিতে চান, তাহারাই আমার হৃদয়ের রাজা, আমার মন সহজেই তঁহাদের চরণে অবনত হয় । এই জন্য মানবহৃদয়ের উপরে মহাজনাদিগের এত প্রভাব ;