পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Do देख्ौंदको । মানবহৃদয়ের উপরে ধৰ্ম্মের যে এই শক্তি ইহা মানব-প্ৰকৃতির একটা গুঢ় রহস্য । অল্প লোকে আইন আদালত জেল প্ৰভৃতি স্থাপন করে, অধিকাংশ লোকে সেই শাসনের অধীন থাকে। যাহারা বলেন, জগতে প্ৰবৃত্তি-পরতন্ত্র লোকেরই সংখ্যা অধিক, তাহাদের এটা চিন্তার বিষয়, কেন অধিকাংশ লোকে অল্পাংশ লোকের শাসনের অনুগত থাকে ? কোনও সমাজের দুস্ক্রিয়ান্বিত লোকগুলি একত্ৰ হইলে ত সৎ লোকগুলিকে শাসনাধীন রাখিয়া নিজের যথেচ্ছাচার করিতে পারে । কেন তবে তাহারা তাহা করিতে পারে না ? হয় বল অধৰ্ম্মের মধ্যে এমন একটা কিছু আছে, যাহাতে তাহার আশ্রিত ব্যক্তিদিগকে একত্ৰ হইতে দেয় না ; না হয়। বল, ধৰ্ম্মের মধ্যে এমন একটা কিছু আছে, যাহাতে ধৰ্ম্মের নামে সাজা দিলে মানুষের নিজের মন বলে এ “এ মার, মানুষের নহে, ইহা ধৰ্ম্মের মার,” সুতরাং তদ্বিরুদ্ধে উত্থান করার সাধা থাকে না । আমার বোধ হয়, দুই কথার মধ্যেই সত্য আছে । ধৰ্ম্ম ঈশ্বরের স্বরূপ, সুতরাং অধৰ্ম্ম যাহা তাহা তদ্বিরুদ্ধ ও তাহার বিনাশ অবশ্যম্ভাবী । এই সত্য অনুভব করিয়াই ঋষিগণ বলিয়াছেন ;- সমুলো বা এষ। পরিশুষ্যতি যোহন্যতমভিবদতি । অর্থ-“যে ব্যক্তি মিথ্যা কহে, সে সমূলে পরিশুষ্ক হয় ; অর্থাৎ মূলবিহীন বৃক্ষের যেমন এ জগতে বাঁচিবার সম্ভাবনা নাই, তেমনি অসত্য বা পাপের এ জগতে বাচিবার উপায় নাই । অধৰ্ম্মের বিনাশ অবশ্যম্ভাবী ; এজন্য ঈশ্বরের বিধি এই অধৰ্ম্মকে