পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

oàoềN. ҹfel<әї জগতের মহাবেদ, মহাবাইবেল, বা মহাকোরাণ সংকলনের দিন আসিতেছে, যে মহা কার্স্যে জগতের সকল জাতির ও সকল যুগের ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ সকল সহায়তা করিবে। তখন আমরা আর দেশ বিশেষের বা জাতিবিশেষের গ্রন্থবিশেষকে ঈশ্বরপ্ৰদত্ত শাস্ত্ৰ বলিয়া অপর সকলকে উপেক্ষা করিব না ; কিন্তু জগতের সকল জাতির ধৰ্ম্মশাস্ত্রের মধ্যে সেই পুণ্যস্বরূপের দেদীপ্যমান প্ৰমাণ পাইব । কিন্তু প্রশ্ন এই, কোন শাস্ত্ৰ ঈশ্বরপ্ৰণোদিত তাহা কিরূপে চিনি ? তদুত্তরে প্রশ্ন, জড় জগতের কোন পদার্থ কিরূপ তাহা কি করিয়া চেন ? বলিবে যে, আলোকের সাহায্যে । আমি বলি পরমার্থতত্ত্বও তঁাহারি মঙ্গলালোকে চিনিবে। তুমি ঈশ্বরের প্রেরণা না পাইলে অপরের প্রেরণা বুঝিবে কিরূপে ? ঈশ্বর-শ্ৰীতি তোমার হৃদন্নে বাস করিয়া চক্ষে আলোক দিলে, তবে তুমি পরমাৰ্থ তত্ত্ব গ্ৰহণে সমর্থ হইবে । তুমি যাহা দেখিতে চাহিতেছ, তুমি নিজে তাহ। হও, তবে তাহা দেখিতে পাইবে। ধৰ্ম্ম রাজ্যের এই একটা মহা নিয়ম যাহা সৰ্ব্বদা স্মরণ রাখা কৰ্ত্তব্য । ঈশ্বর করুন। ইহা আমাদের মনে থাকে ।