পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y) \ე tra দেখিতে পাই, যাহারা কোন ও পদার্থে কোনও প্রকার রং ধরাইতে চায়,তাহারা সৰ্ব্বাগ্ৰে এক প্রকার রংএব। আস্তর দিয়া। থাকে। আস্তর না দিলে তাহাতে রং ভাল করিয়া ফলে না, অর্থাৎ সুন্দর দেখায় না । আমি ধৰ্ম্মজীবনের যে উপাদানগুলির উল্লেখ করিব তাহারা যেন ধৰ্ম্মসাধনের আস্তরস্বরূপ। সেগুলি না থাকিলে ধৰ্ম্মসাধনের ফল সমুচিতরূপ। ফলে না । সেই গৌণ উপাদানগুলির মধ্যে প্রথম জ্ঞানালোচনা । জ্ঞানালোচনার অভ্যাস ও সাধন ব্যতীত ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের ন্যায়। উদার ও অধ্যাত্মিক ধৰ্ম্ম প্রকৃতরূপে সাধিত হইতে পারে না । জ্ঞানলোচনা বলিতে কেবলমাত্ৰ ব্ৰহ্মজ্ঞানের আলোচনা বুঝিতে হইবে না । সামান্য লৌকিক জ্ঞানের আলোচনা ও ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মকে পরিপুন্ট ও সুন্দর করিয়া থাকে। দেহতত্ত্ব, মনস্তত্ত্ব, ভূতত্ত্ব, প্ৰাণিতত্ত্ব, অঙ্ক, জ্যোতিষ, তৰ্কশাস্ত্ৰ, তা সর্থনীতি, ইতিহাস প্রভূতি কোন ও জ্ঞানই ফেলিবার জিনিষ নাহে । ধৰ্ম্ম জীবন গঠনে সকলেরই উপযোগিতা অ'ছে । যাহাতে চিন্তাশীল তাকে বৰ্দ্ধিত করে, আত্ম-দৃষ্টিকে জাগরু ক, করে, চিন্তার উপকরণ সামগ্ৰী সকলকে মনের মধ্যে সংগৃহীত করে, চিত্তে ঈশ্বরের মহিমার জ্ঞানকে উদ্দীপ্ত করে মনের দৃষ্টিকে প্রসারিত ও হৃদয় কে উদার করে, সে সমুদায় কি ধৰ্ম্মজীবন গঠনের উপযোগী নছে ? অতএব ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের ন্যায়। উদার ও আধ্যাত্মিক ধৰ্ম্মের সাধনাকাঙক্ষী ব্যক্তিদিগের পক্ষে জ্ঞানালোচনা কখনই উপেক্ষণীয় বস্তুনিহে । ব্ৰাহ্মপরিবার সকলের এ বিষয়ে মনোযোগ