পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R SS ধৰ্ম্মজীবন । পথ নিৰ্ণয় করিবার পক্ষে কিঞ্চিৎ সহায়তা হইতে পারে। কিন্তু তুলনায় বিচার করিতে প্ৰবৃত্ত হইবার পূর্বে একটু সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক । বর্তমান পাশ্চাত্য সভ্যতার দৈহিকভাব-প্রধানত প্ৰদৰ্শন করিতে প্ৰবৃত্ত হইবার পূর্বে ইহা মনে রাখিতে হইবে, যে সেই সভ্যতার বর্তমান মুখ্য ভাব বা গতিকেই নির্দেশ করা হইতেছে ; ইহার মধ্যে যে সকল উৎকৃষ্ট ও আধ্যাত্মিক ভাব রহিয়াছে, এবং যে সকল মহাদনুষ্ঠান হইতেছে, তাহা অস্বীকার করা বা বিস্মৃতি হওয়া উদ্দেশ্য নহে ; কিংবা ইহার গতি যে চিরদিন এরূপ থাকিবে তাহা বলাও অভিপ্ৰায় নহে । কিন্তু মানব চরিত্র বিচারের স্থলে যেমন কে কোন দিন একটা ভাল কথা বলিয়াছে, বা একটা ভাল কাজ করিয়াছে। তদুর চরিত্রের বিচার হয় না ; কিন্তু তাহার সমগ্ৰ চিন্তা ও কাজের সাধারণ গতি কোন দিকে তদদ্বারাই বিচার হয়, তেমনি মানব-ইতিহাসের কোন ও একটা যুগের বিশেষ ভাবের বিচার করিতে হইলে, সে সময়কার মানুষের মনের প্ৰধান গতিটাকেই নিরূপণ করিতে হয়। এই নিয়মানুসারে বর্তমান পাশ্চাত্য সভ্যতার গতি নির্ণয় করিবার চেষ্টা করা যাইতেছে । বর্তমান পাশ্চাত্য সভ্যতাকে ইউরোপের মধ্যযুগের অতিরিক্ত আধ্যাত্মিকতার প্রতিক্রিয়া বলিলে অত্যুক্তি হয় না। ঐ মধ্যযুগের ধৰ্ম্মসমাজ সকল আধ্যাত্মিকতার নামে অতিশয় বাড়াবাড়ি করিয়াছিলেন ; শাস্ত্রের দোহাই দিয়া জ্ঞানের পথ