পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰকৃত আধাত্মিক তার লক্ষণ কি ? RRS) ও জড়ের শক্তি সকল যে ভাবে সেই পরাশক্তি ও পরম জ্ঞান দ্বারা নিয়মিত হইতেছে, আমাদের জীবন কেবল সে ভাবে নিয়মিত নহে। মানুষে এমন কিছু আছে, যাহা অপর কুত্ৰাপি নাই। মানুষ ধৰ্ম্ম-নিয়মের অধীন ; মানুষের ধৰ্ম্মবুদ্ধি ইহার প্রমাণ ! ঈশ্বর এই ধৰ্ম্মবুদ্ধিতে আপনাকে ধৰ্ম্মাবহ রূপে অভিব্যক্তি করিয়াছেন । যেমন মানবীয় জ্ঞানে আপনার জ্ঞান স্বরূপের পরিচয় দিয়াছেন, মানব-হৃদয়ের প্ৰেমে আপনাকে প্ৰেমময় বলিয়া অভিব্যক্তি করিয়াছেন, তেমনি মানবের ধৰ্ম্মবুদ্ধিতে আপনাকে ধৰ্ম্মের নিয়ন্ত বলিয়া ঘোষণা করিয়াছেন । এই ধৰ্ম্ম নিয়ম সুনিশ্চিত, অপরিহার্স্য ও অনুল্লঙ্ঘনীয় । ইষ্টক খানি ছুড়িয়া যেমন অভ্ৰান্তরূপে বলিতে পার যে তাহ ধরা পৃষ্ঠে পড়িবেই পড়িবে, তেমনি অভ্রান্তরূপে বলিতে পারা যায় এ জগতে পাপের শাস্তি ও ধৰ্ম্মের জয় হইবেই। হইবে । সুতরাং হৃদয়-নিহিত ধৰ্ম্মবুদ্ধির বশবত্তী হওয়া ও জীবন সম্বন্ধে ঈশ্বরেচ্ছার অধীন হওয়া একই কথা। আমাদের ধৰ্ম্মবুদ্ধি হৃদয়বাসী ঈশ্বরের প্ররোচনা । যে দিন হইতে মানুষ ধৰ্ম্মবুদ্ধিতে ঈশ্বরকে প্রতিষ্ঠিত বলিয়া দেখিতে আরম্ভ করে, সেই দিন হইতে আধ্যাত্মিক ধৰ্ম্মের জন্ম হয় ও প্ৰকৃত আধ্যাত্মিকতার প্রধান লক্ষণ প্ৰকাশ পায় । যতদিন মানুষ তাহাকে কেবল জড়রাজ্যেই দর্শন করে, ততদিন তাহাকে কেবল শক্তিরূপেই দেখিতে পায় । তাহাকে শক্তিরূপে ধারণা করিতে গেলেই মন ভয়ভীত ও অভিভূত হইয়া