পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S\SOR ধৰ্ম্মজীবন । তাহাদের শক্তি ভগবদত্ত শক্তি, এখন অধিকাংশ সভ্যদেশে সেই শক্তি রাজাদের হস্ত হইতে অপহৃত হইয়া প্ৰজাদের হস্তে ন্যস্ত হইয়াছে ; কিন্তু রাজ-শাসন বস্তুটা অক্ষুন্ন রহিয়াছে ; কারণ মানুষ সমাজবদ্ধ হইয়। বাস করিতে গেলেই তদঙ্গীভূত প্ৰত্যেক ব্যক্তির ধন, মান রক্ষার জন্য এবং বাহিরের উপদ্রব নিবারণের জন্য একটি রাজ-শাসন চাই । এক আকারে ইহাকে ভগ্ন কর, আর এক আকারে গড়িয়া উঠিবে ; মানুষ দেখিবে অরাজকতাতে সমাজের উচ্ছেদ, সুতরাং স্বাভাবিক সামাজিকতা-প্রবৃত্তির বশবৰ্ত্তী হইয়া অরাজকতা নিবারণের জন্য সম্মিলিত হইবে । এইরূপে আমরা দেখিতেছি গৃহ, পরিবার, দাম্পত্য, বাণিজ্য, রাজশাসন প্রভৃতি সমুদায় সামাজিক ব্যবস্থার বীজ মানব প্ৰকৃতির মধ্যে রহিয়াছে, এবং আমরা তাহ জানি বলিয়াই মানব-সমাজের স্থায়িত্ব সম্বন্ধে নিরুদ্বেগে নিভির করিতে পারি । ইহাদের সংস্কার ও সংশোধনের যে প্রয়োজন নাই, তাহ বক্তব্য নহে ; বরং এ সকলকে অনেক দেশে যে আকারে ও যে অবস্থাতে দেখা যায়, তাহার প্রভুত । সংস্কারের প্রয়োজন আছে ; কিন্তু এ সকলের ঐকান্তিক উচ্ছেদ যে কাহার ও সাধ্যায়ত্ত নহে, তাহাই বলা উদ্দেশ্য । এখন প্রশ্ন এই, অপরাপর বিষয়ের ন্যায় মানবের ধৰ্ম্মভাবও কি স্বাভাবিক ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত ? ইহাও কি স্থায়ী ও দুরপনেয় ? বিগত শতাব্দীর শেষে ও বর্তমান