পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ày ধৰ্ম্মজীবন । উচ্ছাস ও বেশ আছে, ভাবে মগ্ন হইয়া থাকিতে তাহারা ভাল বাসেন, কিন্তু কৰ্ত্তব্য-সাধনে মনোযোগ নাই। তাহদের প্রতি কোন ও কার্স্যের ভার দিয়া নির্ভর করিতে পারা যায় না, যে তাহা যথাসময়ে ও সমুচিত রূপে সম্পাদিত হইবে। একটু সামান্য কারণ উপস্থিত হইলেই তাহার। নিজ কৰ্ত্তব্য কার্সে অবহেলা করিয়| বিষয়াস্তরে প্রস্তান করেন । মনে কর ব্ৰাক্ষী সমাজের খাতা পত্র রাখিবর ভার একজনের প্রতি আছে ; যেইট অদূরে খোলের শব্দ উঠিয়াছে, বা একজন কথা কহিবার লোক জুটিয়াছে, অমনি খাতা পত্ৰ পড়িয়া রহিল, তিনি সেখানে গিয়া জুটিলেন। স্পষ্ট বলিতে কি আমি এরূপ চরিত্রের লোককে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম সাধনের উপযুক্ত ব্যক্তি মনে করি না । কৰ্ত্তব্য-পরায়ণতা ব্রাহ্মের ধৰ্ম্ম জীবনের একটা প্ৰধান লক্ষণ । তৃতীয় উপাদান নর-হিতৈষণা । আমাদের সমুদায় প্রীতি ও সমুদায় সেবা অল্প-সংখ্যক সমবিশ্বাসী ও সমভাবাপন্ন লোকের মধ্যে আবদ্ধ থাকিলে হইবে না । আমাদের প্ৰেমকে সমগ্র জগতে বিতরণ করিতে হইবে, ও আমাদের সেবাকে সমগ্ৰ জগতের পরিচর্ম্যাতে নিয়োগ করিতে হইবে । অনেকে মনে করিতে পারেন, এরূপ উদারভাব ভাষাতে ব্যক্তি করিতে ভাল এবং শুনিতে ও ভাল, কিন্তু কাৰ্য্যে করা দুষ্কর । তাহাদিগকে আমাদের প্রধান পুরুষ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতে অনুরোধ করি। র্তাহার হৃদয় কিরূপ বিশাল ও প্রীতি কিরূপ উদার ছিল, তাহা সকলে একবার চিন্তা