পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VON TOG IS 25 R ঠেকে, অথবা বোধ হয় ঐ তারাগুলির উপরেই স্বৰ্গ ऊ(ट । এমনি আর একটী বিষয়ে পরিবর্তন ঘটিয়াছে, সে কালের মানুষ পৃথিবীটাকে বড় ভাবিয়া যেমন ইহাকে আপনাদের চিন্তাতে প্ৰধান স্থান দিতেন, তেমনি মানুষকে সৃষ্টির রাজা জানিয়া সমুদয় সৃষ্টিকে মানুষের অধীন করিতে চাহিতেন। বাইবেল গ্রন্থে বলে ঈশ্বর সর্বাগ্রে একটী পুরুষ সৃষ্টি করিলেন; পরে পুরুষের সহচরী হইবার জন্য নারীকে এবং মানুষের ভোগের জন্য ইতার-প্ৰাণীদিগকে সৃষ্টি করিলেন :- আমাদের দেশের প্রাচীন শাস্ত্ৰে ও আছে ঃ যজ্ঞার্থে পশবঃ সৃষ্টাঃ অর্থ-“ইত্যর প্রাণী সকল যজ্ঞে বলি হইবার জন্য সৃষ্ট হইয়াছে।” মানুষ সৃষ্টির রাজা, আর সমুদয় মানুষের জন্য । এখন এই তত্ত্ব আবিষ্কৃত হইয়াছে যে, মানুষ এক মহা ধারাবাহী বিবর্তন-শৃঙ্খলার একটী গ্ৰন্থিমাত্র। ইতর প্রাণীগণ মানুষের জন্য সৃষ্ট হয় নাই, কিন্তু মানুষ ইত্যর প্রাণী হইতে বিবৰ্ত্তিত হইয়া উৎপন্ন হইয়াছে। তাহারা আমাদের পরে নহে, কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষ। পুর্বোক্ত উভয় তত্ত্ব র্যাহার মনে প্ৰবেশ করিয়াছে, তিনি কি আর প্রাচীনদিগের চক্ষে এই জগৎকে ও মানুষকে দেখিতে পারেন ? প্রাচীনেরাও জগতে বাস করিয়াছিলেন, আমরাও