পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনের উচ্চ আদর্শ। Að আচরণে র্তাহাদিগকে অসত্যের বা অন্যায়ের আচরণ করিতে হয়, গীতা জ্ঞানীদিগকে কেবল মাত্ৰ লোক-সংগ্রহের মানসে এমন কৰ্ম্মের ও আচরণ করিতে বলিতেছেন । কিন্তু আমার বোধ হয়। গীতার অভিপ্ৰায় তাহা নহে। জ্ঞান ও কৰ্ম্মের সামঞ্জস্য বিধানের জন্যই গীতার সৃষ্টি । এতদ্দেশে এক শ্রেণীর জ্ঞানী দেখা দিয়াছিলেন, যাহারা সন্ন্যাসকে অর্থাৎ কৰ্ম্মত্যাগকে পৰ্ম্মজীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অবস্থা বলিয়া মনে করিতেন। এখনও এই শ্রেণীর সন্ন্যাসিগণ এদেশে বাস করিতেছেন । ইহঁরা কৰ্ম্মের ও আশ্ৰম-পৰ্ম্মের সমুদায় চিহ্র পরিত্যাগ করিয়া সন্ন্যাস পথ অবলম্বন করিয়াছেন । এই শ্রেণীর সাধকগণ যে অসত্য, অন্যায়, বা অধৰ্ম্ম বোধে কৰ্ম্মকে তাগ করিয়াছেন তাহা নহে, জ্ঞানীর পক্ষে কৰ্ম্ম বঙ্গন-রাজু, এই বোধেই তাহাকে পরিত্যাগ করিয়াছেন । গীত। এই শ্রেণীর সাধককে বলিতেছেন ;-কৰ্ম্ম তোমাদের পক্ষে নিম্প্রয়োজন হইলে ও সাধারণ লোকদিগকে সন্মাগ্য প্ৰদৰ্শনের জন্য ইহার আচরণ কর । এই ভাব যে ধৰ্ম্মজগতে সম্পূর্ণ নূতন, অথবা গীতাতেই কেবল ইহা দৃষ্ট হয়, তাহী নহে ; অন্যান্য অনেক স্থানে ও দেখিতে পাওয়া যায়। এদেশীয় বৈষ্ণবগণের একটা বচন প্ৰচলিত আছে,- ‘আপনি আচরি৷ ধৰ্ম্ম জগতে শিখায়।” মহাত্মা চৈতন্যের সম্বন্ধে তাহার এই কথা বলিয়া থাকেন। চৈতন্যকে তঁাহারা পূৰ্ণব্ৰহ্ম ভগবানের অবতার বলিয়া গণ্য করিয়া থাকেন, সুতরাং তাহাদের এ কথার অভিপ্ৰায় এই যে, স্বয়ং ভগবানের পক্ষে