পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्षणी नद-छौदcन्द्र यांढ्णांक । R C না দেখিয়া এই উপায় অবলম্বন করিয়াছে। বৃদ্ধ ভূত্য জোরে ঘণ্টা নাড়িলে, রমণীর হস্তে ও মস্তকে আঘাত লাগিয়াছে ; তাহাতে শরীর রক্তাক্ত হইয়া গিয়াছে ; তথাপি সে ঘণ্টা ছাড়ে নাই । অবশেষে ক্রমওয়েল যখন ‘কারফিউ” না বাজিবার কারণ অনুসন্ধান করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন, তখন ঐ রমণী নামিয়া আসিয়া তাহার সমক্ষে জানু পাতিয়া, যেরূপে সে সেই স্তন্তে আরোহণ করিয়াছিল, যে রূপে ঘণ্টা আলিঙ্গন করিয়া ছিল, ও তন্নিবন্ধন আঘাত পাইয়াছে, সমুদায় দিবেদন করিল। ক্রমওয়েল যখন সেই স্তন্তে আরোহণের বৃত্তান্ত শুনিলেন, তখন বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া বলিলেন, “ভদ্রে ! প্রেমের খাতিরে তোমার প্ৰণয়ীর প্রাণ দান করিলাম ; আজ আর “কারফিউ” বাজিবে না।” তদবধি ‘আজ আর “কারফিউ”বাজিবেন।” এই উক্তিটি ইংলেণ্ডের প্ৰজাকুলের মধ্যে একটী পবিত্ৰ পৌরাণিক কাহিনীর ন্যায় হইয়া রহিয়াছে। জিজ্ঞাসা করি কে ঐ রমণীকে তুঙ্গশ্বঙ্গ আরোহণের পথ দেখাইয়া দিল ? প্ৰেম কি নয় ? তুমি আমি কলিকাতার ন্যায় একটা মহা সহরে প্রতিদিন কত লোকের সঙ্গে মিশি ; সকলেই কি আমাদিগকে চেনে ? তোমরা সকলেই কি আমাকে চেন ? হয়ত বলিবে কেন চিনিব না, আপনার নাম অমুক, অমুক গ্রামে আপনার বাস, আপনি অমুক ব্যক্তির পুত্র, আপনি ব্ৰাহ্মসমাজের আচাৰ্য্য । এই হইলেই কি আমাকে চেনা হইল ? যাহারা সর্বদা এক পাড়ায় আমার সঙ্গে বাস করিতেছেন, সৰ্ব্বদা আমার কথা শুনিতেছেন, তাহারা কি আমাকে চেনেন ?