পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মজীবন। ছিলেন- ‘সমুলো বা এষ। পরিশুষ্যতি যোহনৃতমভিবদতি’ যে মিথ্যাকে আশ্রয় করে, সে সমূলে পরিশুষ্ক হয়। সেকথার অর্থ কি ? সেকথার অর্থ এই যে, এ ব্ৰহ্মাণ্ডে যেমন মূল-বিহীন বৃক্ষের বাচিবার বন্দোবস্ত নাই, তেমনি মিথ্যারও বঁচিবার বন্দোবস্ত নাই। মূল-বিহীন বৃক্ষ যেমন দুই দিন হরিদ্বর্ণ থাকিতে পারে, পুষ্প ফল ধারণ করিতে পারে, কিন্তু চরমে শুষ্ক হওয়া অনিবাৰ্য্য ; তেমনি মিথ্যা বা অসাধুতা দুইদিন চাকচিক্য প্ৰকাশ করিতে পারে, আপনাকে জয়ী বলিয়া দেখাইতে পারে, কিন্তু তাহার বিনাশ অপরিহার্ষ্য । যে ব্যক্তি সত্য বা ন্যায় বা সাধুতার উপরে দাড়াইতে যাইতেছে, সে যদি অনুভব করে যে সমগ্ৰ ব্ৰহ্মাণ্ডের শক্তি তাহার পশ্চাতে সহায়রাপে রহিয়াছে, তবে তাহার কত বড় বল, কত বড় সাহস হয় ! ! একবার শুনিয়াছিলাম, যে এক রাজ্যের একদল সৈনিক না। জানিয়া প্ৰাস্তবত্তী অপর এক রাজার রাজ্যের সীমার মধ্যে গিয়া পড়িয়াছিল। যখন সৈন্যদল সমরসজাতে যাইতেছে, তখন অপর রাজ্যের নিকটবৰ্ত্তী থানার একজন রক্ষীপুরুষ স্বীয় রাজ্যের নিশান হস্তে তথায় আসিয়া উপস্থিত হইল ; এবং সাহসের সহিত সেই সৈন্যদলকে বলিল,-“তোমরা সংবাদ না। দিয়া সশস্ত্ৰে সদলে আমাদের রাজ্যে আসিয়াছ, অতএব তোমরা সামরিক আইন অনুসারে বন্দী হইলে ; তোমাদের অস্ত্ৰ শস্ত্ৰ এখনি আমার হস্তে অর্পণ করা ; আমাদের রাজ্যাধিপতির হুকুম না। আসা পৰ্য্যন্ত তোমরা বন্দী ৷” আততায়ী সৈন্যদল আপ