পাতা:ধর্ম্মজীবন (দ্বিতীয় খন্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মই মানব-জীবনের মুক্তি । RSNO অমনি সে একেবারে চীৎকার করিয়া দৌড়িয়া গিয়া এক গৃহস্থের দ্বারে অজ্ঞান হইয়া পড়িল । এই সংবাদে গ্রামের লোকের পূর্ব-সংস্কার দশগুণ দৃঢ় হইয়া গেল । এইরূপে জগতের উপধৰ্ম্ম সকল নানাপ্রকার কুসংস্কার ও বিভীষিকা-মুলক আখ্যায়িকাতে পুর্ণ হইয়া গিয়াছে। অজ্ঞ মানুষ নিজের উচ্ছঙ্খল প্ৰকৃতি দেখিয়াই প্রকৃতির অন্তরালবৰ্ত্তী শক্তি সকলের কল্পনা করিয়াছে । দেখিয়াছে নিজেদের যখন ক্ৰোধ হয়, তখন তাহারা প্ৰহার করে ; যখন সাজ-প্ৰাপ্ত ব্যক্তি স্তুতি করে তখন ক্ৰোধ যায় ; যখন কেহ অনিষ্ট করে, তখন প্ৰতিহিংসা-বৃত্তি জাগ্রত হয় ; এবং তাহার অনিষ্ট সাধনে সুখ হয় ; এই সকল দেখিয়া ভাবিয়াছে প্ৰকৃতির অন্তরালবৰ্ত্তী শক্তি সকল ও ঐরূপ ; তাহার কেন রুষ্ট হয়, কেন তুষ্ট হয়, তাহার কোনও নিয়ম নাই ; কিন্তু রুষ্ট হইলেই কষ্ট দেয় ; তুষ্ট হইলেই সুখী করে । অজ্ঞতা মানুষের মনকে যেমন একদিকে ভয়ের অধীন রাখে, তেমনি অপর দিকে মানুষের অধীন রাখে। ভয় নিবারণের জন্য যে যাহা বলে, তাহাতেই প্ৰত্যয় হয়। এইরূপে এখনও এদেশে শত শত দৈবজ্ঞ ব্ৰাহ্মণ অজ্ঞ স্ত্রীলোকদিগের নিকট হইতে প্রচুর অর্থসংগ্ৰহ করিতেছে। এইরূপে প্ৰায় সমুদয় প্রাচীন ধৰ্ম্মসম্প্রদায় মধ্যেই পুরোহিত ও ধৰ্ম্মযাজক দলের সৃষ্টি হইয়াছে। মানুষের চিন্তা ও কাৰ্য্যের স্বাধীনতা হরণ করিবার জন্য মানুষ কত প্ৰকার মন্ত্র সৃষ্টি